ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

আশিয়ান সিটির আবাসিক প্রকল্পে প্লট বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৬
আশিয়ান সিটির আবাসিক প্রকল্পে প্লট বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা

ঢাকা: রাজধানীর আশিয়ান সিটির আবাসিক প্রকল্পকে অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায় বাতিল করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

সোমবার (২২ আগস্ট) রাষ্ট্রপক্ষ এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) আবেদনের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদনের শুনানি না হওয়া পর্যন্ত এ স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। এ সময়ের মধ্যে আশিয়ান সিটির ওই প্রকল্পের কোনো প্রকার বিজ্ঞাপন, প্লট বিক্রি ও কোনো ক্রেতার কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করা যাবে না। অর্থাৎ ওই প্রকল্পের সকল কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেলার আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী।

আদালতে শুনানি করেন বেলার আইনজীবী ফিদা এম কামাল। সঙ্গে ছিলেন মিনহাজুল হক চৌধুরী ও রিজওয়ানা হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আশিয়ান সিটির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ।

পরে রিজওয়ানা হাসান বলেন, হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে আশিয়ান সিটির প্রকল্পের সকল কার‌্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। এর অর্থ কেনো প্রকার উ্ন্নয়ন কাজ করতে পারবে না, বিজ্ঞাপন দেওয়া যাবে না, অর্থ লেনদেন করা যাবে না।  

কোন কোন মৌজায় নিষেধাজ্ঞা করা হয়েছে জবাবে বলেন, উত্তরখান, দক্ষিণখান, বেরাইদ ও বরুয়া বাথুর মৌজা।

গত ১৬ আগস্ট বিচারপতি সৈয়দ এ বি মাহমুদুল হক, বিচারপতি নাইমা হায়দার ও কাজী রেজা-উল হকের বৃহত্তর বেঞ্চ দক্ষিণখানের আশিয়ান সিটি আবাসিক প্রকল্পকে অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের আগের দেওয়া রায় বাতিল করেন।
 
পরে হাইকোর্টের রায় স্থগিত ও ওই প্রকল্পে আশিয়ান সিটির কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ ও বেলার আইনজীবীরা। চেম্বার বিচারপতির আদালত ১৮ আগস্ট আবেদন দু’টি ২২ আগস্ট আপিল বিভাগে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন।    

২০১২ সালের ২২ ডিসেম্বর আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), ব্লাস্ট, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন, ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্ট বাংলাদেশ, নিজেরা করি, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন রিটটি দায়ের করেন।
 
ওই সময় বেলার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো- ওই এলাকায় আশিয়ান সিটি প্রথমে ৫৫ একর জমির ওপর অবস্থানগত ছাড়পত্র পায়। তখন আশিয়ানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো, তারা কোনো জলাভূমি ভরাট করবে না। কিন্তু তারা কাগজপত্রে ৪৩ দশমিক ১১ একর দেখালেও প্রকল্পে মোট ২৩০ দশমিক ৪৬ একর জমি ভরাট করেছিলো।

গত ১৬ আগস্ট রিজওয়ানা হাসান বলেন, ২০১৪ সালের ১৬ জানুয়ারি ওই প্রকল্পকে অবৈধ বলে রায় দেন হাইকোর্ট। পরে তারা(আশিয়ান) জেলা প্রশাসকের একটি অনুমতি পত্রসহ আবার রিভিউ করেন। এ আবেদনের পর হাইকোর্ট তাদের আগের রায় বাতিল করে রিভিউ মঞ্জুর করেন।  

তিনি বলেন, এখন ওই প্রকল্পের আকার অন্তত ১১৯৭ একর।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৬
ইএস/এইচএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।