ঢাকা: মোবাইল কোর্টে এক শিক্ষার্থীকে দুই বছরের দণ্ড দেওয়ার ঘটনায় হাইকোর্টে হাজিরা দিয়েছেন টাঙ্গাইলের সখিপুরের ইউএনও এবং ওসি।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশের জন্য ১৮ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন।
আদালতে ইউএনও এবং ওসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নুরুল ইসলাম সুজন ও শ ম রেজাউল করিম।
সখিপুরের এক স্কুল শিক্ষার্থীকে মোবাইল কোর্টে কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনায় একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান আদালতের নজরে আনলে গত ২০ সেপ্টেম্বর দুই কর্মকর্তাকে তলব করেন হাইকোর্ট।
আদালতের আদেশে সকালে সখিপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এবং সখিপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মাকসুদুল আলম আদালতে হাজির হন।
একইসঙ্গে কারাদণ্ড পাওয়া নবম শ্রেণির ওই স্কুলছাত্রও আদালতে ঘটনার বর্ণনা দেন।
নুরুল ইসলাম সুজন আদালতে বলেন, সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে ঘটনা যেভাবে এসেছে, তা সঠিক না।
অন্যদিকে শ ম রেজাউল করিম বলেন, ওই শিক্ষার্থীকে গাঁজাসহ আটক করে মোবাইল কোর্টে দেওয়া হয়েছিল। গাঁজা পাওয়ার ঘটনায় তাকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাসপোর্ট অনুযায়ী শিক্ষার্থীর জন্ম ১৯৯৫ সালে। সুতরাং সে কিশোর নয়।
তবে ওই ইংরেজি পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, টাঙ্গাইল-৮ বাসাইল-সখিপুর আসনের সংসদ সদস্য অনুপম শাজাহান জয় গত ১৬ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) রাতে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। যেখানে অভিযোগ করা হয়, একটি ফেসবুক আইডি থেকে তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
ওই জিডির অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ উপজেলার প্রতিমা বঙ্কি এলাকা থেকে ওই স্কুলছাত্রকে আটক করে ১৮ সেপ্টেম্বর (রোববার) ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন।
সাজার আদেশের পরদিন সকালে ওই কিশোরকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেন সখিপুরের ওসি মাকসুদুল আলম।
স্কুল ছাত্র আদালতে তাকে পুলিশ, ইউএনও স্থানীয় এমপির নির্যাতন করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
আদালত তার দেওয়া বক্তব্য লিখিত আকারে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে দাখিল করতে বলেন। পাশাপাশি ওই ইংরেজি পত্রিকা কর্তৃপক্ষকেও তাদের হলফনামা দাখিল করতে বলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭,২০১৬
ইএস/জেডএস