ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নোয়াখালী জেলার সুধারামের রাজাকার আমির আলীসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
একই মামলার আসামি চারজনের মধ্যে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন আমির আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমির আলী, মো. জয়নাল আবদিন ও মো. আব্দুল কুদ্দুস এবং পলাতক আছেন আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রথম সাক্ষী মো. সামসুদ্দীন।
পরে তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম।
প্রথমদিনের জেরা শেষে আগামী রোববার (০২ অক্টোবর) পর্যন্ত মুলতবি করেন চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল।
গত ০৭ সেপ্টেম্বর চারজনের বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য (ওপেনিং স্টেটমেন্ট) উপস্থাপন শেষ করেন প্রসিকিউশন।
আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নোয়াখালীর সুধারামে ১১১ জনকে হত্যা-গণহত্যার তিনটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত ২০ জুন অভিযোগ (চার্জ) গঠনের মাধ্যমে এ চারজনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়।
২০১৪ সালের ১৬ নভেম্বর থেকে গত বছরের ৩০ আগস্ট পর্যন্ত এ মামলায় পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন। গত বছরের ৩১ আগস্ট তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওই দিনই প্রসিকিউশনের কাছে জমা দেন তদন্ত সংস্থা।
গত বছরের ০৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম। ট্রাইব্যুনাল গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে ওইদিনই নোয়াখালী ও লক্ষীপুর থেকে গ্রেফতার হন আমীর আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমীর আলী, মো. জয়নাল আবদিন ও মো. ইউসুফ আলী। পরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গ্রেফতার করা হয় মো. আব্দুল কুদ্দুসকে।
গত বছরের ১৪ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়ে পলাতক আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুরকে আত্মসমর্পণে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। পরে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও তিনি আত্মসমর্পণ করেননি বা গ্রেফতার হননি। মনসুর পালিয়ে থাইল্যান্ড চলে গেছেন বলে নিশ্চিত হয়েছেন প্রসিকিউশন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৬
ইএস/এএসআর