ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

এরশাদের রাডার মামলার বিচার ৩১ মার্চের মধ্যে সম্পন্নের নির্দেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৬
এরশাদের রাডার মামলার বিচার ৩১ মার্চের মধ্যে সম্পন্নের নির্দেশ

সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের বিরুদ্ধে রাডার কেনা সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলার বিচারিক কার্যক্রম আগামী বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতে মামলার বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণও করা যাবে বলে আদেশে জানিয়েছেন উচ্চ আদালত।

ঢাকা: সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের বিরুদ্ধে রাডার কেনা সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলার বিচারিক কার্যক্রম আগামী বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতে মামলার বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণও করা যাবে বলে আদেশে জানিয়েছেন উচ্চ আদালত।

মামলাটিতে যুক্তিতর্কের পরিবর্তে ফের সাক্ষ্য নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের ওপর বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) এ আদেশ দেন বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
 
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শহীদুল ইসলাম খান। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
পরে শহীদুল ইসলাম খান বলেন, ৩১ মার্চের মধ্যে এ মামলার বিচার কাজ শেষ করতে আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে মামলার বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্যও নিতে পারবেন বলে আদেশ দিয়েছেন।
 
বুধবার (২৩ নভেম্বর) শুনানি শেষে খুরশীদ আলম খান বলেন, এ মামলায় মোট ৩৮ জন সাক্ষী ছিলেন। এর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য নিয়ে মামলাটি যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য রাখা হয়। এরপর দুদক বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্য নিতে আবেদন জানালে বিচারিক আদালত তা খারিজ করে দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের বিরুদ্ধে এ মামলায় তার শাসনামলে ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানির অত্যাধুনিক রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিন কোম্পানির রাডার কিনে রাষ্ট্রের ৬৪ কোটি ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয় মামলাটিতে।
 
১৯৯২ সালের ৪ মে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো (বর্তমানে কমিশন) মামলাটি দায়েরের পর ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
 
১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট এরশাদসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম সুপ্রিম কোর্টের আদেশে স্থগিত ছিল। সাক্ষ্যগ্রহণে কোনো বাধা না থাকলেও ২০০৯ সাল পর্যন্ত তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো বাদী আলী হায়দারকে আদালতে হাজির করেনি।

মামলার ১৮ বছর পর ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট শুরু হয় বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ। ২০১২ সালের ১ মার্চ বাদীর সাক্ষ্য শেষ হয়।
 
২০১৪ সালের ১৫ মে এ মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন এরশাদ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে লিখিত বক্তব্য দিয়েছিলেন। সেদিন অন্য দুই আসামি বিমান বাহিনীর সাবেক দুই শীর্ষ কর্মকর্তা মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও সুলতান মাহমুদও নিজেদের নির্দোষ দাবি করে বক্তব্য দিয়েছিলেন। অন্য আসামি এ কে এম মুসা শুরু থেকেই পলাতক।

বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৬
ইএস/ এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।