ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

নেত্রকোনার চার রাজাকারের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৮ ঘণ্টা, মে ৩, ২০১৭
নেত্রকোনার চার রাজাকারের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ খলিলুর রহমান ,আজিজুর রহমান, আশক আলী এবং শাহনেওয়াজ

ঢাকা: একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নেত্রকোনার চারজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করা হয়েছে। আগামী ১৪ জুন অভিযোগ আমলে নেওয়ার বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আসামিরা হলেন- নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের খলিলুর রহমান (৭২), তার ভাই আজিজুর রহমান (৬৫), একই উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের আশক আলী (৮২) এবং জানিরগাঁও ইউনিয়নের শাহনেওয়াজ (৮৮)। খলিলুর রহমান ছাড়া বাকিরা গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।

তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, অবৈধ আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগে ধ্বংস করা, ধর্ষণ ও ধর্ষণের চেষ্টার পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ২২ জনকে হত্যা-গণহত্যা, একজনকে ধর্ষণ, একজনকে ধর্ষণের চেষ্টা, অপহৃত চারজনের মধ্যে দু’জনকে ক্যাম্পে নির্যাতন, ১৪-১৫টি বাড়িতে লুটপাট এবং সাতটি বাড়ি অগ্নিসংযোগে ধ্বংসের অভিযোগ। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা থানা এলাকায় তারা এসব অপরাধ করেন বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে।
 
মামলাটির পাঁচ আসামির মধ্যে রমজান আলী গ্রেফতার হয়ে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকি‍ৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ায় তাকে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (০৩ মে) আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
 
আগামী ১৪ জুন এ অভিযোগ আমলে নেওয়ার বিষয়ে দিন ধার্য করেন চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল।
 
গত ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর ধানমণ্ডিতে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওই চারজনের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল থেকে তদন্ত শুরু করে ওইদিনই শেষ হয়। একজন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জব্দ তালিকার দু’জনসহ মোট ৮২ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন।

আসামিদের মধ্যে খলিলুর রহমান ইসলামী ছাত্রসংঘের সদস্য ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। পরে চণ্ডিগড় ইউনিয়ন আলবদর বাহিনীর কমান্ডার হন। বর্তমানে তিনি জামায়াতের সমর্থক।

আজিজুর রহমান, আশক  আলী ও শাহনেওয়াজ পাকিস্তান মুসলিম লীগের সমর্থক ও মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার বাহিনীর সদস্য ছিলেন। বর্তমানে তারাও জামায়াতের সমর্থক।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।