ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

৮ মাসেও অতিরিক্ত বিচারপতি পাননি সুপ্রিম কোর্ট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৩৮ ঘণ্টা, মে ৪, ২০১৭
৮ মাসেও অতিরিক্ত বিচারপতি পাননি সুপ্রিম কোর্ট সুপ্রিম কোর্ট

ঢাকা: ২০১৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারির পর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

গত বছরের আগস্টে সুপ্রিম কোর্ট থেকে নির্বাহী বিভাগকে হাইকোর্ট বিভাগে কয়েকজন বিচারপতি নিয়োগের পরামর্শ দেওয়া হলেও তা এখনো আলোর মুখ দেখেনি। এদিকে ইতোমধ্যেই অবসর নেওয়া তিনজনসহ চলতি বছরে সাত বিচারপতির অবসরে যাওয়ার কথা রয়েছে।

ফলে গত ০৮ মাসেও অতিরিক্ত বিচারপতি না পাওয়ায় উচ্চ আদালতে মামলার জট আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

প্রথমে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে দুই বছর দায়িত্ব পালন শেষে স্থায়ী করা হয় বিচারপতিদের।

সর্বশেষ ২০১৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ১০ জনকে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। চলতি বছর তাদের ৮ জন স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। বাকি দু’জনের মধ্যে একজন ইন্তেকাল করেন। অন্যজন স্থায়ী নিয়োগ থেকে বাদ পড়েছেন। তবে তিনি এর বিরুদ্ধে রিট মামলা করেছেন, যেটি আপিল বিভাগে বিচারাধীন।

গত চার মাসে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতি ‍অবসরে গেছেন। চলতি বছরেই আরও চারজনের অবসরে যাওয়ার কথা রয়েছে।

তাদের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফরিদ আহম্মদ গত ০২ জানুয়ারি ও বিচারপতি শামীম হাসনাইন ২৩ এপ্রিল এবং আপিল বিভাগের বিচারপতি নিজামুল হক ১৪ মার্চ অবসর নেন।

বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারপতি ০৭ জন। তাদের মধ্যে বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা আগামী ০৭ জুলাই অবসরে যাবেন।
 
বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগের মোট বিচারপতি ৮৬ জন। তাদের মধ্যে বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী আগামী ২৯ মে, বিচারপতি মো. মিজানুর রহমান ভূঁঞা ০৬ সেপ্টেম্বর এবং বিচারপতি সৈয়দ এ বি মাহমুদুল হক ৩০ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন।

বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল বাসেত মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক মামলার জট। যদি বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া না হয়, তাহলে এ জট আরও বাড়বে। আর এতে ভোগান্তিতে পড়বেন বিচারপ্রার্থীরা’।

দ্রুতই সুপ্রিম কোর্টে আরও বেশি সংখ্যক বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী।

সম্প্রতি প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এ বিষয়ে বলেছেন, ‘আমেরিকায় ১০ লাখ মানুষের জন্য ১০৭ জন, কানাডায় ৭৫ জন, ইংল্যান্ডে ৫১ জন, অস্ট্রেলিয়ায় ৪১ জন, ভারতে ১৮ জন বিচারক রয়েছেন। অথচ বাংলাদেশে ১০ লাখ মানুষের জন্য মাত্র ১০ জন বিচারক রয়েছেন। জনসংখ্যা ও মামলার সংখ্যা অনুপাতে বিচারক নিয়োগ দেওয়া এখন সময়ের দাবি’।

‘২০১৬ সালের আগস্টে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর উভয়পক্ষের সম্মতিক্রমে সুপ্রিম কোর্টের সরকারকে আমি হাইকোর্ট বিভাগে ৮ জন অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগের পরামর্শ দেই। দীর্ঘ আলোচনার পরে পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে সুপারিশ পাঠানো হলেও এ নিয়োগ প্রক্রিয়া আলোর মুখ দেখেনি’।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।