ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বরিশাল পলিটেকনিকের ছাত্র অপহরণের ঘটনায় ৩ মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২১ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৭
বরিশাল পলিটেকনিকের ছাত্র অপহরণের ঘটনায় ৩ মামলা

বরিশাল: বরিশাল সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র অপহরণ এবং পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ মে)  দিবাগত রাতে অপহৃত ছাত্র এবং পুলিশ বাদী হয়ে মামলা তিনটি দায়ের করেন।

ঘটনার সময় ছাত্রাবাস থেকে ২৫ জনকে আটক করা হলেও এতে আসামি করা হয়েছে ১৮ জনকে।

এছাড়া মামলায় আরো বেশ কিছু শিক্ষার্থীদের অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

বুধবার রাতে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. আওলাদ হোসেন বাংলানিউজের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে যাদের আটক করা হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সঙ্গে ১৮ জনের সম্পৃক্ততার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। যে কারণে ১৮ জনকে আপাতত মামলায় আসামি করা হয়েছে। বাকিদের পুলিশি নজরদারীতে রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, অপহরণ, নির্যাতন এবং চাঁদাদাবির অভিযোগ এনে বরিশাল সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ৭ম সেমিস্টারের ছাত্র দ্বীপ কুমার পাল বাদী হয়ে দায়েরকৃত মামলায় আসাদুজ্জামান ফাহিমসহ তার সহযোগীদের আসামি করা হয়েছে।

এছাড়া পুলিশ বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা দান এবং পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ এনে আরও পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেছে। তবে এ মামলা দু’টির আসামিদের নাম জানা যায়নি।

এর আগে বুধবার দুপুরে বরিশাল সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অপহৃত এক ছাত্রকে ছাত্রাবাস থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে হামলার শিকার হয় থানা পুলিশ। পুরো ঘটনায় অপহরণকারী ছাত্রলীগ নেতাসহ ২৫ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। পাশাপাশি ছাত্রাবাস থেকে অপহৃত ছাত্র ও ধারালো চাকুসহ বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
বিকেলে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি মডেল থানায় প্রেস ব্রিফিংকালে সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো.আসাদুজ্জামান জানান, বরিশাল সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেক্ট্রিক্যাল বিভাগের ৭ম সেমিস্টারের ছাত্র দেব কুমার পাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ঢাকা থেকে বরিশালে আসে। ভোর ৫টার দিকে বাস থেকে নামার পরে নথুল্লাবাদ এলাকা থেকে তাকে ইনস্টিটিউটের প্রধান ছাত্রাবাসে ধরে নিয়ে আসে আসাদুজ্জামান ফাহিম। যে নিজেকে কলেজ ছাত্রলীগের একাংশের নেতা বলে দাবি করেছেন।

তিনি জানান, পরে ছাত্রাবাসের পঞ্চম তলায় ৫০১ নম্বর রুমে দেবকে আটকে রেখে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। এমনকি চাঁদা আদায়ের জন্য ধরে আনা ওই ছাত্রকে হলের মধ্যে আটকে রেখে বিদ্যুৎ শক দেয়াসহ নানানভাবে অত্যাচার করা হয়।

তিনি আরও জানান, চাঁদা না দিলে দেবকে গলা কেটে হত্যার ভয় ভীতিও দেখানো হয়। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জানতে পেরে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে অপহৃত দেব কুমার পালকে উদ্ধার করে। পাশাপাশি ৫০১ নম্বরের ওই কক্ষ থেকে চাকু, কসটেপ ও বালতিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করে এবং আসাদুজ্জামান ফাহিমকে হাতেনাতে আটক করে।
তাদের থানায় নিয়ে আসার চেষ্টা কালে ফাহিমের সহযোগী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সঙ্গবব্ধ হয়ে অভিযানকারী পুলিশের ওপর হামলা চালায় বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হলে তাৎক্ষণিক ফোর্স বাড়িয়ে হামলাকারীদের ধরতে অভিযান চালানো হয়। পুরো অভিযানে ফাহিম সহ ২৫ জনকে আটক করা হয়। গুরুতর আহত থানা পুলিশের কনস্টেবল হাবিবুর রহমানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অপহৃত ছাত্র দেব কুমার পাল বাংলানিউজকে জানায়, ফাহিত মূলত হামলায় নিহত ছাত্রলীগ নেতা রেজার অনুসারী ছিল।

বাংলা‌দেশ সময়: ০৩১৯ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৭

এমএস/এমএ/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।