আসামি দশজন হলেন- জাহিদ হাসান ওরফে রানা ওরফে মোসায়েব, আরমান, রুবেল ইসলাম ওরফে সজীব, কবির হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আশিক, মাসুদ রানা, হাফেজ আহসান উল্লাহ মাহমুদ, আবু সাঈদ সোলায়মান ওরফে সালমান, শাহ জালাল, ওমর ফারুক ওরফে মানিক ও চাঁন মিয়া।
আসামিদের মধ্যে ওমর ফারুক ওরফে মানিক, শাহজালাল, হাফেজ আহসান উল্লাহ মাহমুদ ও চাঁন মিয়া জামিনে এবং অন্য ছয়জন কারাগারে আটক আছেন।
এর মধ্য দিয়ে মামলাটির বিচার শুরু হলো। আগামি ১৫ জুন সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করে বিচারের জন্য ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ মে) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে এ অভিযোগ গঠন করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার পাল বাংলানিউজকে বলেন, ৬ জনকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয় এবং জামিনে থাকা ৪ জন হাজির ছিলেন। ফলে সব আসামির উপস্থিতিতে এ অভিযোগ গঠিত হয়। এ সময় আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী ফারুক হোসেন আসামিদের অব্যাহতির আবেদন জানালে বিচারক তা নাকচ করে দেন।
২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর দিবাগত রাতে পুরান ঢাকার হোসেনি দালান চত্ত্বরে তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে বোমা হামলা চালায় জেএমবি। এ ঘটনায় দু’জন নিহত ও শতাধিক আহত হন।
পরদিন চকবাজার থানার উপ-পরিদর্শক জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
এ মামলায় মোট ১৩ জঙ্গিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে বিভিন্ন অভিযানের সময় ক্রসফায়ারে মারা যান ৩ জঙ্গি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৭
এমআই/এএসআর