বুধবার (৩১ মে) চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদালত আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আগামী ০৫ জুন এ আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
গত ০৯ মার্চ আবেদনটি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
খালেদার আইনজীবীরা জানান, মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ‘সৌদি আরব থেকে ট্রাস্টের নামে অর্থ এসেছে। কিন্তু আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, সৌদি থেকে কোনো অর্থ আসেনি। অর্থ এসেছে কুয়েত থেকে। এ অংশের পুন:তদন্ত চেয়ে করা আবেদন গত ০২ ফেব্রুয়ারি খারিজ করে দেন বিচারিক আদালত। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। যে আবেদন ০৯ মার্চ খারিজ হয়ে যায়’।
রাজধানীর বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. আকতারুজ্জামানের আদালতে মামলাটির বিচারকাজ চলছে।
২০০৮ সালের ০৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।
এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ আসামি মোট ছয়জন। অন্য পাঁচ আসামি হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ৩২ জন সাক্ষী। জামিনে থাকা দুই আসামি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদ আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন।
ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৭
ইএস/এএসআর