সোমবার (০৫ জুন) বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ আগামী ০৭ জুলাই এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য করেছেন।
চার পুলিশ সদস্য হচ্ছেন- থানার ওসি মহসিনুল কাদের, উপ-পরিদর্শক নাহিদ হাসান, কনস্টেবল মো. সেন্টু মোল্লা ও আবদুল হালিম।
সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী আহত এক শিক্ষার্থীকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাতকড়া পরানোর ব্যাখ্যা দিতে আশুলিয়ার ওসিকে গত ২৯ মে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। সে আদেশ অনুসারে গত ৩১ মে আদালতে হাজির হয়ে তিন পুলিশ সদস্যের ঘটনাস্থলে থাকার কথা উল্লেখ করেন ওসি। পরে ওই তিন পুলিশ সদস্যসহ ওসিকে ০৫ জুন ফের হাজির হতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
সোমবার চার পুলিশ সদস্য হাজির হয়ে নিঃর্শত ক্ষমা প্রার্থনা করলে তাদেরকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন আদালত।
গত ২৬ মে ভোর ৫টায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সিঅ্যান্ডবি এলাকায় বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আল বেরুনি হলের মার্কেটিং বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান রানা ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের আরাফাত নিহত হন।
এ ঘটনায় অভিযুক্তদের শনাক্ত করে দ্রুত বিচারের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গ্রেফতার হন ৪২ শিক্ষার্থী। আহত হন অনেকে। পরে অবশ্য ৪২ শিক্ষার্থীর জামিনও হয়।
এদিকে আহত এক শিক্ষার্থীকে নিয়ে ২৯ মে একটি ইংরেজি দৈনিকে ‘হ্যান্ডক্যাপড টু হসপিটাল বেড’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সরকার ও রাজনীতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী নাজমুল হোসেন আহত হওয়ার পর বন্ধুরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করেন। কিন্তু পুলিশ তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। যেখানে হাসপাতালের বেডের সঙ্গে তার একহাতে হ্যান্ডকাপ পরানো হয়েছে। খাওয়ার সময় হ্যান্ডকাপ খুলে দিতে অনুরোধ করলেও পুলিশ তা খুলে দেয়নি’।
অসুস্থ অবস্থায় কাউকে হাতকড়া পরানো পুলিশ রেগুলেশন, বেঙ্গল এর ৩৩০ (এ) বিধানের লঙ্ঘন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এ প্রতিবেদনটি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এস এম রেজাউল করিম ও ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া নজরে আনলে ওসিকে তলবাদেশ দিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
চার পুলিশ সদস্যের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৭
ইএস/এএসআর