একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (০৭ জুন) এ রুল জারি করেন।
নিহত স্বপন মিয়ার পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা এবং আহত পলাশ ও নুরুন্নবীকে ৩০ লাখ টাকা করে দিতে জারি করা রুলে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধান প্রকৌশলী, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী, ফ্লাইওভার নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বিবাদী করা হয়েছে।
জনগণের নিরাপত্তা দিতে সরকারের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। নিহত স্বপনের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদানে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে রমনা থানার ওসিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে তা আদালতকে অবহিত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
তাদেরকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে হবে।
গত ১২ মার্চ রাত সোয়া ২টার দিকে ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ চলাকালে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে তিনজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
গার্ডার তোলার সময় সেটি ক্রেন থেকে ছিঁড়ে পড়ে নিহত স্বপন মিয়া (৪২) ওই ফ্লাইওভারের নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন। তার বাবার নাম আজিম উদ্দীন, বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার কুমারপুরে।
আহত তমা কনস্ট্রাকশনের প্রকৌশলী পলাশ (৪০) ও শাহ সিমেন্টের গাড়িচালক নুরুন্নবী (৪০) ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় গত ০৩ জুন হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করে মানবাধিকার সংগঠন চিলড্রেনস চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম।
পরে আইনজীবী আব্দুল হালিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আদালতকে বলেছি, জনগণের নিরাপত্তা দিতে সরকার আইনগতভাবে বাধ্য। কিন্তু এ ফ্লাইওভার নির্মাণে জনগণের যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। যা ঘটনা নিজেই নিজের বর্ণনা দেয়। এখানে সরকারের অবহেলা ছিল’।
তিনি আরও বলেন, আদালত নিহত স্বপন মিয়ার পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা ও আহত অপর দু’জনকে ৩০ লাখ টাকা করে দিতে রুলটি জারি করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৭
ইএস/এএসআর