এ বিষয়ে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানির পর বুধবার (০২ আগস্ট) বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এক বছরের মধ্যে এ আইন (কোড) প্রণয়ন বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দিতেও সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিশন গঠন করে আইন (কোড) প্রণয়নের জন্য জনস্বার্থে ২০১২ সালে রিট আবেদন দায়ের করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ বি এম নুরুল ইসলাম।
আদালতে আবেদনের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
পরে অরবিন্দ কুমার রায় বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিশন গঠন করে আইন (কোড) প্রণয়নের জন্য রিট করা হয়েছিল। এর জবাবে সরকার এ বিষয়ে কোড প্রণয়ন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছে। এরপর শুনানি শেষে আদালত সরকারের প্রক্রিয়াধীন কোডটি এক বছরের প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, এর মধ্যে কিন্ডার গার্টেন, কওমি মাদ্রাসা থেকে শুরু করে সব ধরনের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর আওতায় থাকবে।
এদিকে এ বি এম নুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশে প্রচলিত শিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী চলছে। যা সংবিধানের ১৫২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কারণ ১৯৯৫ সালের ১০ অক্টোবরে করা প্রচলিত শিক্ষা কার্যক্রম নীতিমালাগুলো রাষ্ট্রপতি বা সংসদ প্রণয়ন করেননি।
তিনি বলেন, আমি শিক্ষা ব্যবস্থায় সুনির্দিষ্ট আইন চেয়ে একটি রিট আবেদন দায়ের করেছিলোম। বিগত পাঁচ বছর আদালতে এ বিষয়ে শুনানি করেছি। বুধবার এ বিষয়ে আদালত নির্দেশনা দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন।
বাংলাদেশ সময়:১৪০০ঘণ্টা, আগস্ট ০২,২০১৭
ইএস/এমএ