প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার আদেশক্রমে বুধবার (০২ আগস্ট) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিচারপতিদের কোনো আদেশ না হওয়া সত্বেও এক ফৌজদারি মামলার আসামি ও অন্যান্য স্বার্থান্বেষী মহলের কারসাজি ও সহায়তায় জাল-জালিয়াতিপূর্ণ রুল এবং জামিনের আদেশ সৃজনের মাধ্যমে অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে।
‘আনীত অভিযোগ গুরুতর হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো’।
হাইকোর্ট সূত্র জানায়, গত বছরের ২৬ জুন বকতার আহমেদ নামের এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবাসহ রাজধানীর খিলগাঁও থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বকতারের বাড়ি কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী গ্রামে। এ মামলাটি ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৬ এ বিচারাধীন রয়েছে।
এ মামলায় হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন ওই আসামি। কিন্তু জামিনের আবেদনটির শুনানিই হয়নি। শুনানি না হওয়া সত্ত্বেও বেঞ্চ অফিসার রফিকুল ইসলাম হাইকোর্টের দুই বিচারপতির স্বাক্ষর জাল করে জামিনের আদেশ প্রস্তুত করেন। ওই ভুয়া জামিনের আদেশ বিচারিক আদালতে দাখিল করা হলে আসামি বকতার কারাগার থেকে মুক্তি পান।
একই মামলার অন্য আসামি নুরুল আলম টিটো জামিন চেয়ে আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানিতে মূল আসামি বকতারের জামিন পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। তখনই এ ভয়াবহ জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১৭
ইএস/এএসআর