৭২ ঘণ্টার মধ্যে দুই কর্মকর্তা বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য সচিব ও ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালককে তা আদালতকে জানাতে হবে।
এ বিষয়ে করা এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (০৩ আগস্ট) এ আদেশ দেন।
ওই দুই কর্মকর্তা হলেন- ঔষধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম ও উপ-পরিচালক আলতাফ হোসেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
তিনি বলেন, শিশু মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ওই দুই ব্যক্তির অদক্ষতা প্রমাণিত হওয়ার পরও তারা বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। এরপর ১৬ মার্চ এক সসম্পূরক আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ওই দুইজনের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ১১ জুলাই একটি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এতে ওই দুই কর্মকর্তার অবেহলা দেখা যায়। এ অবস্থায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে আরেকটি আবেদন দাখিল করা হয়।
‘ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট প্রতিবেদনের আলোকে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন। ’
২০০৯ সালে রিড ফার্মার ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ খেয়ে সারাদেশে ২৮ শিশু মারা যায়। এ ঘটনায় ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের পক্ষ থেকে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলার বিচার শেষে গত বছরের ২৮ নভেম্বর পাঁচজনকে খালাস দেন বিচারিক আদালত।
ওই রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারিক আদালত বলেছিলেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর মামলাটি করার ক্ষেত্রে ১৯৮০ সালের ড্রাগ আইন যথাযথভাবে অনুসরণ করেনি।
মামলায় যথাযথভাবে আলামত জব্দ করা, তা রাসায়নিক পরীক্ষাগারে প্রেরণ এবং রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদন আসামিদের দেওয়া হয়নি। এ ক্ষেত্রে ড্রাগ আইনের ২৩ ২৫ ধারা প্রতিপালন করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে তৎকালীন ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক শফিকুল ইসলাম ও আলতাফ হোসেন চরম অবহেলা, অযোগ্যতা ও অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।
এ দিকে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে পরে হাইকোর্টে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয় গত ৯ মার্চ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৭
ইএস/এমএ