গত ১৩ জুলাই থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত তিন দফায় দাম বাড়িয়ে পেঁয়াজের মূল্য নির্ধারণ করেছে টিসিবি। আইনজীবী শিহাব জানান, এ পরিসংখ্যান তুলে ধরে জনস্বার্থে আইনি নোটিশটি পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) কনশাস কনজ্যুমার সোসাইটির (সিসিএস) পক্ষে নোটিশটি পাঠান ব্যারিস্টার শিহাব।
তিনি আরও বলেন, ‘গত একমাসে তিন দফায় ২০০ শতাংশেরও বেশি দাম বেড়েছে পেঁয়াজের, যা অস্বাভাবিক। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংবাদ পরিবেশিত হলেও সরকারের কাছ থেকে দাম বাড়ার কারণ জানা যায়নি। পণ্যের দাম তদারকি ও বাজার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে উদাসীন’।
নোটিশে তুলে ধরা পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত ১৩ জুলাই প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ২৮-৩২ টাকা আর আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ২২-২৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয় টিসিবি। এর মাত্র ২০ দিন পরই গত ০৮ আগস্ট প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৪০-৫০ টাকা আর আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ধরা হয় ৩০-৩৫ টাকা। অর্থাৎ, ২০ দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম বাড়ে ১০ থেকে ২০ টাকা।
এর মাত্র ৭ দিনের ব্যবধানে গত ১৬ আগস্ট আবারও পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে টিসিবি। এবারও প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা বাড়িয়ে দেশি পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা আর আমদানি করা পেঁয়াজ ৫০-৫৫ টাকা ধরা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানও তুলে ধরা হয়েছে নোটিশে। সেখানে বলা হয়েছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১০ লাখ ৪১ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৪৭ শতাংশ বেশি। সর্বশেষ গত জুলাই মাসে আমদানি হয়েছে ১ লাখ ৩ হাজার টন পেঁয়াজ, যা আগের মাসের তুলনায় ৫৫ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৭
ইএস/এএসআর