মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি এম ফারুকের হাইকোর্ট বেঞ্চ পৃথক রিট আবেদনে এ রুল জারি করেন।
একইসঙ্গে আপন জুয়েলার্সের মালিকদের শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের দেওয়া নোটিশ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না রুলে তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাকির হোসেন রিপন।
দুই সপ্তাহের মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বনানীর একটি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনার পর প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের পরিবারের মালিকানাধীর আপন জুয়েলার্সে অভিযান চালায় শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।
আপন জুয়েলার্সের ৫টি শোরুম থেকে মোট ১৫ মণ ১৩ কেজি স্বর্ণ জব্দ করে। আপন জুয়েলার্সে চূড়ান্ত ইনভেন্টরি করার সময় মোট ১৫ মণ ১৩ কেজিস্বর্ণ, ৭৩৬৯ পিস ডায়মন্ডখচিত অলঙ্কার, নগদ ৬৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা ও ১০০ মার্কিন ডলার জব্দ করা হয়। সবমিলে আপন জুয়েলার্সের জব্দকৃত মালামালের মূল্য প্রায় ২৮৪ কোটি টাকা।
আপন জুয়েলার্সের প্রায় সাড়ে ১৫ মণ স্বর্ণ, হীরা ও নগদ অর্থ জব্দের ঘটনায় ১২ আগস্ট অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনে পাঁচটি মামলা করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
মামলার অভিযুক্তরা হলেন, আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিম, গুলজার আহমেদ এবং আজাদ আহমেদ।
এর আগে ২৫ জুলাই দিলদার, গুলজার ও আজাদ মামলামাল ফেরত চেয়ে রিট করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৭
ইএস/এসএইচ