কারনেট ডি প্যাসেজ সুবিধার মাধ্যমে একটি বিলাসবহুল ‘রেঞ্জ রোভার’ গাড়িতে শুল্কফাঁকি ও সুইস ব্যাংকের ৯৬ হাজার কোটি টাকার অস্বচ্ছ হিসাব দাখিল সংক্রান্ত এ মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল সোমবার (সেপ্টেম্বর ১১)।
কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কোন প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুন্নাহার ইয়াসমিন নতুন করে এ দিন ধার্য করেন।
গত ৩১ জুলাই শুল্ক গোয়েন্দার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) মো. জাকির হোসেন গুলশান থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এ মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
এর আগে গত ২১ মার্চ শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি তদন্ত দল মুসার ব্যবহৃত একটি ‘রেঞ্জ রোভার ভোগ’ মডেলের গাড়ি আটক করে। গাড়িটি ভোলা বিআরটিএ থেকে শুল্ক পরিশোধের ভুয়া বিল অব এন্ট্রি দেখিয়ে রেজিস্ট্রেশন করানো হয়। ওই বিল অব এন্ট্রিতে ১৭ লাখ টাকা শুল্ক প্রদানের তথ্য উল্লেখ করা হয় । কিন্তু চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সূত্রে জানা যায়, এ সংক্রান্ত কোনো বিল অব এন্ট্রি দাখিল হয়নি। এভাবে মুসা ওই গাড়িটি বাবদ প্রায় ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকি দেন।
এছাড়াও মুসা দুদকে তার বার্ষিক টার্নওভার এর বিষয়ে লিখিত বক্তব্যে ‘সুইস ব্যাংকে রক্ষিত ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৯৬ হাজার কোটি টাকা জব্দ আছে’ মর্মে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ অর্থসম্পদের স্বপক্ষে কোন ব্যাংক স্টেটমেন্ট কিংবা অন্য কোনো প্রামাণিক দলিলাদি দাখিল করতে পারেনি মুসা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৭
এমআই/আরআই