বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামানের আদালতে শ্যামল কান্তির অব্যাহতির আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। পরে ঘুষ গ্রহণ ও প্রতারণা মামলায় তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের নির্দেশ দেন আদালত।
গতবছর পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকাকে এমপিওভুক্ত (বেতন বাবদ সরকারি অনুদান পাওয়া) করে দেওয়ার আশ্বাসে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে মামলা করা হয় শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে।
শ্যামল কান্তি ভক্তের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বাংলানিউজকে বলেন, ‘মামলাটি থেকে অব্যাহতির আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেছেন। ’
তিনি বলেন, ‘আমরা সুবিচারের আশায় আছি। শ্যামল কান্তি ভক্ত একজন শিক্ষক, নিরাপরাধ। পূর্বপরিকল্পিতভাবে স্কুল থেকে সরানোর জন্যই এ মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। আশা করছি শ্যামল কান্তি সুষ্ঠু বিচার পাবেন। ’
এ মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও অ্যাডভোকেট মহসিন মিয়া।
গত বছরের ১৩ মে শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে উঠবস করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। এ ঘটনার দুই মাসের মাথায় ওই বছরের ১৪ জুলাই এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার কথা বলে মোর্শেদা বেগম নামে এক শিক্ষকের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
পরে এ ঘটনায় মামলা করা হয়। তদন্তের পর ৪ জনকে সাক্ষী দেখিয়ে গত ১৭ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
এ মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর আত্মসমর্পণ করলে তাকে জামিন দেন আদালত। গত ১৬ আগস্ট স্থায়ী জামিন লাভ করেছেন শিক্ষক শ্যামল কান্তি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৭
এমএ