সোমবার (৯ অক্টোবর) দু’দেশের সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে এক সমঝোতা চুক্তি সই অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্ট জাজেস লাউঞ্জে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা বলেন, ১৯৭২ সালের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মস্কো সফর করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যে অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতা রাশিয়া দিয়েছে তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি বলেন, দু’দেশের বিচার বিভাগের মধ্যে সহযোগিতা চুক্তি সাক্ষরের মধ্য দিয়ে আমাদের বিচার ব্যবস্থা শক্তিশালী হবে। এই সহযোগিতা চুক্তির প্রধান উদ্দেশ্য দু’দেশের বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বিনিময় করা।
একইসঙ্গে বিচার ও মামলা ব্যবস্থাপনায় ই-সার্ভিস প্রতিষ্ঠায় রাশিয়ার প্রযুক্তিগত সহায়তাপ্রাপ্তিও এ চুক্তির অন্যতম উদ্দেশ্য। আর তা বাস্তবায়িত হলে কম সময়ে, কম খরচে ও কম লোকবল ব্যবহার করে বিচারিক জট নিরসন করা যাবে বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা।
তিনি আরও বলেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতায় আমরা আমাদের রাষ্ট্রের কল্যাণের জন্য বৃহত্তর পরিবর্তন ও কৌশল নির্ধারণ করতে পারি। যা আমাদের জীবনের প্রত্যেক ক্ষেত্রে উন্নতি বয়ে আনবে।
চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, রুশ রাষ্ট্রদূত, বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতসহ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
চুক্তি সইয়ের পর সুপ্রিম কোর্টের সম্মুখভাগে বকুল ফুলের দু’টি বৃক্ষ রোপণ করেন দুই দেশের প্রধান বিচারপতি।
এরপর প্রায় ঘণ্টখানেক ধরে আপিল বিভাগের এজলাসে বসে বিচার কাজ প্রত্যক্ষ করেন রুশ প্রধান বিচারপতি। তিন দিনের সফরে রোববার (৮ অক্টোবর) সকালে ঢাকায় আসেন রাশিয়ান প্রধান বিচারপতি। তার সঙ্গে সফরসঙ্গী রয়েছেন আরও তিন ব্যক্তি।
দুপুর একটায় লাঞ্চের পর আড়াইটায় অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে বৈঠক করবেন রুশ প্রধান বিচারপতি লেবেদভ। পরে বিকেল সাড়ে তিনটায় বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পরিদর্শনে যাবেন তিনি।
এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির সৌজন্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন বিচারপতি লেবেদভ।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সারাদিন রাশিয়া দূতাবাসে অবস্থানের পর বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে নিজ দেশের উদ্দেশে তার ঢাকা ত্যাগ করার কথা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৭
ইএস/এএ