ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটে মোবাইল কোর্ট ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৭
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটে মোবাইল কোর্ট ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট/ছবি: দীপু-বাংলানিউজ

ঢাকা: নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। 

রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) এ আদেশ দেন।

এর আগেও কয়েক দফা এই রায় স্থগিত ঘোষণা করেছিলেন আপিল বিভাগ।

ফলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সুযোগ ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত থাকছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অন্যপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজীম।

২০১১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ভবন নির্মাণ আইনের কয়েকটি ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে আবাসন কোম্পানি এসথেটিক প্রপার্টিজ ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খানকে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন। ২০ সেপ্টেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি পান। এরপর তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন (মোবাইল কোর্ট অ্যাক্ট, ২০০৯) এর কয়েকটি ধারা ও উপধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১১ অক্টোবর রিট আবেদন করেন।

রিটের শুনানি নিয়ে একই বছর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। আদালতের জারি করা রুলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ৫ ধারা এবং ৬(১), ৬(২), ৬(৪), ৭, ৮(১), ৯, ১০, ১১, ১৩, ১৫ ধারা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরে এ ধরনের আরও দু’টি রিট করা হয়। তিন রিটে মোট ১৯ আবেদনকারীর শুনানি শেষে গত ১১ মে রায় ঘোষণা করা হয়।

হাইকোর্টের রায়ের পর হাসান এম এস আজীম বলেন, রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, এটি অসাংবিধানিক ও মাসদার হোসেন মামলার (বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ) রায়ের পরিপন্থী। বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পরিপন্থী।

এছাড়াও ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনে আবেদনকারীদের দেওয়া সাজাও বাতিল করেছেন। এর মধ্যে একজনকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। তার টাকাও ৯০ দিনের মধ্যে ফেরত দেওয়ার রায় হয়েছে।

গত ১৪ মে এ রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ। ওই দিন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত ১৮ মে পর্যন্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে ২১ মে আপিল বিভাগ এ স্থগিতাদেশ আরও বাড়ান। পরবর্তীতে আরও কয়েক দফা বাড়ানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১০২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০,২০১৭
ইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।