ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সাদেকা হালিমকে ডিনের দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে হাইকোর্টের রুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৭
সাদেকা হালিমকে ডিনের দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে হাইকোর্টের রুল

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের নতুন ভারপ্রাপ্ত ডিন হিসেবে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমকে দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল মতিন খসরু।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।

পরে আব্দুল মতিন খসরু বলেন, আদালত রুল জারি করেছেন। কারণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩ এর আর্টিকেল ২৭ (৫) অনুচ্ছেদ অনুসারে সাদেকা হালিমকে দায়িত্ব দেওয়া অবৈধ। এ কারণে রিটটি করা হয়েছিলো।

এর আগে গত ৪ অক্টোবর ওই অনুষদের সদ্য বিদায়ী ভারপ্রাপ্ত ডিন  অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া রিটটি করেন।

গত ৩০ জুন অবসরোত্তর ছুটিতে যান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। ২ জুলাই থেকে ভারপ্রাপ্ত ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, চলচ্চিত্র ও ফটোগ্রাফি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ জে এম  শফিউল আলম ভূঁইয়া।
 
এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩ এর আর্টিক্যাল ২৪ (এল) অনুযায়ী অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিধি অনুসারে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে অনধিক ৯০ দিন অথবা পরবর্তী নির্বাচিত ডিন কাজে যোগদান না করা পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।

৩০ সেপ্টেম্বর সকালে ডিন অফিসে এসে দায়িত্ব নেন সাদেকা হালিম।
 
গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে ডিন কার্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের নেওয়া সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমকে ডিনের দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্তকে আইনের পরিপন্থী উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলন করেন ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া।

অধ্যাপক শফিউল আলম বলেন, ‘এক ভারপ্রাপ্ত ডিনকে সরিয়ে আরেক ভারপ্রাপ্ত ডিন নিয়োগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ও প্রচলিত রেওয়াজ পরিপন্থী এবং অধ্যাদেশের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। রেওয়াজ অনুসারে পরবর্তী ডিন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত ডিন দায়িত্ব পালন করেন। যা এর আগে হয়েছে। কিন্তু আমাকে কেন নির্বাচন না দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হলো? তাহলে আমি কি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আক্রোশের শিকার?’

তিনি বলেন, ‘গত ২৭ সেপ্টেম্বর আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে লিখিতভাবে জানিয়েছি যে, তিনমাস পূর্ণ হতে আর বেশিদিন নেই। তাই হয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন, অন্যথায় ভর্তি পরীক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমাকে ডিন হিসেবে কন্টিনিউ করুন। তবে এরপর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না করেই আমাকে সরিয়ে দেওয়া হল। কেন এমন করা হলো, আমি তা জানতে চাই’।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৭
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।