বিচারপতি সিনহা শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশে ভ্রমণে যাচ্ছেন এবং আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বাইরে থাকবেন বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) হোটেল সোনারগাঁওয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের এক অনুষ্ঠান শেষে বের হয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
লেজিস্লেটিভ ইম্প্যাক্ট অ্যাসেস্মেন্ট (এলআইএ) এবং ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশনের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মন্ত্রণালয়ের লেজিস্লেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ।
প্রধান বিচারপতির একমাসের ছুটি ও বিদেশে যাওয়া সম্পর্কে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি একমাসের ছুটিতে আছেন। এরই মধ্যে আবার অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও আমেরিকা সফরে আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বিদেশে অবস্থানের কথা জানিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়েছেন। শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) তিনি বিদেশ যাচ্ছেন- এখন পর্যন্ত বিষয়টি এ পর্যায়ে রয়েছে’।
তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতিতে একজন দায়িত্ব পালন করবেন। সে হিসাবে প্রধান বিচারপতি ফেরার আগ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা।
এর মধ্য দিয়ে প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিলো, তার অবসান ঘটল কি-না-? এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘কিসের বিতর্ক? ব্যক্তিগত কারণে প্রধান বিচারপতি ছুটিতে গেছেন। ব্যক্তিগত প্রয়োজনে তিনি এখন বিদেশ সফর করবেন, এর মধ্যে বিতর্ক কিসের?’
প্রধান বিচারপতি ইস্যুতে কূটনৈতিকদের কাছে বিএনপির নালিশ সম্পর্কে মন্তব্য করতে বললে আনিসুল হক বলেন, ‘তাদের হাতে আন্দোলনের আর কোনো ইস্যু নাই। এখন তারা খড়-কুটা আঁকড়ে ধরে আন্দোলনের চেষ্টা করছেন। কিন্তু আমরা বলবো, আদালতের বিষয় নিয়ে যেন তারা কোনো রাজনীতি না করেন। এতে কোনো ফল হবে না’।
আদালতের প্রতি বিএনপির কোনো শ্রদ্ধা নেই মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সমন জারি করলে তিনি আদালতে হাজির হন না। ওয়ারেন্ট ইস্যু করলে আদালতে গিয়ে তার আইনজীবীরা বিচারককে গালিগালাজ করেন। আসলে আদালতের প্রতি তাদের কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই’।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
এজেড/এএসআর
** নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই রিভিউ আবেদন