এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (১৬ অক্টোবর) রুলসহ এ আদেশ দেন।
এসব বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে ৪৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
রুলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণে ঢাকনাযুক্ত আবদ্ধ যান ব্যবহারে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সুনির্দিষ্ট বিধি প্রণয়নের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সরকার সচিব, আইনসচিব, পরিবেশসচিব, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ ১৫ জন বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ০৯ সেপ্টেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘শহরে বর্জ্য ছড়াচ্ছে ৩৭৮ খোলা ট্রাক’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট আবেদনটি করেন জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর, ধানমণ্ডি, বংশাল, যাত্রাবাড়ী, মুগদা, বিজয় সরণি, বাড্ডা, তেজগাঁও রেলগেট, মোহাম্মদপুর ও গাবতলী এলাকায় অন্তত ১৫টি খোলা ট্রাকে এভাবে বর্জ্য বহন করতে দেখা যায়। এগুলোর মধ্যে মাত্র তিনটিতে ত্রিপল ব্যবহার করতে দেখা গেছে। তা–ও সেগুলো ছিল ছেঁড়া’।
‘জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ১৪০টি খোলা ট্রাকে বর্জ্য পরিবহন করে। আর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) খোলা ট্রাক আছে ২৩৮টি। রাজপথে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে ময়লাবাহী ট্রাকগুলো যায় দু’টি গন্তব্যে। ঢাকা দক্ষিণের ময়লা নেওয়া হয় মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিলে এবং উত্তরের ময়লা ফেলা হয় আমিনবাজারের ল্যান্ডফিলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৭
ইএস/এএসআর