সোমবার (১৬ অক্টোবর) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জাহিদুল কবিরের আদালত রায়ের এ দিন ধার্য করেন। ঘটনার ২৮ বছর পর মামলা দু’টির রায় ঘোষণা করা হচ্ছে।
মামরাটির ১৫ আসামির মধ্যে গোলাম সারোয়ার, ফ্রিডম সোহেল, জর্জ, মো. শাজাহান বালু ও নাজমুল মাকসুদ মুরাদ কারাগারে রয়েছেন। হুমায়ুন কবির (১), মিজানুর রহমান, খন্দকার আমিরুল ইসলাম কাজল ও গাজী ইমাম হোসেন জামিনে আছেন।
আসামি লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুর রশীদ, মো. হুমায়ুন কবীর (২), জাফর আহম্মদ ও রেজাউল ইসলাম খান পলাতক রয়েছেন।
ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী আসামি সৈয়দ ফারুক রশীদ ও বজলুল হুদার বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় তাদেরকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের অস্থায়ী এজলাসে এ মামলার বিচার চলছে।
১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট মধ্যরাতে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর রোডে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে বঙ্গবন্ধু কন্যা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ওপর এ হামলা চালায় ১০/১২ জনের একটি দল। এ সময় শেখ হাসিনা বাড়ির ভেতর অবস্থান করছিলেন।
এ ঘটনায় পুলিশ সদস্য মো. জহিরুল ইসলাম হত্যা প্রচেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ১৬ জনকে আসামি করে ধানমণ্ডি থানায় মামলা দায়ের করেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট রাত ১২টা থেকে দুইটার মধ্যে ১০/১২ জনের একটি দল ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে হামলা করেন। তারা এ সময় গুলি চালিয়ে ও বোমা ফাটিয়ে ত্রাসের সৃষ্টি করেন তারা। হামলাকারীরা ‘কর্নেল ফারুক-রশীদ জিন্দাবাদ’ শ্লোগান দিয়ে স্থানত্যাগ করেন।
২০০৯ সালের ০৫ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
গত ২০ আগস্ট গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ছিয়াত্তর কেজি বোমা উদ্ধার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার অন্য দুই মামলায় দশজনকে মৃত্যুদণ্ড, একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৩ জনকে ১৪ বছর করে ও ৯ আসামিকে ২০ বছর করে কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৭
এমআই/এমজেএফ/এএসআর