ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মুক্তি মিলছে না এমপি রানার, রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৭
মুক্তি মিলছে না এমপি রানার, রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ

ঢাকা: মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (এমপি) আমানুর রহমান খান রানার জামিনের স্থগিতাদেশ চলমান রেখে চার সপ্তাহের মধ্যে রুল নিষ্পত্তির আদেশ দিযেছেন আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ফলে কারাবন্দি এই সংসদ সদস্যের মুক্তি মিলছে না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।

 

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর সংসদ সদস্য রানার পক্ষে শুনানি করেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।  

কয়েক দফা ব্যর্থ হওয়ার পর গত ১৩ এপ্রিল জামিন মেলে এমপি রানার। বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি এ এন এম বসির উল্লাহ'র হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন।

এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে গত ১৮ এপ্রিল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ০৮ মে পর্যন্ত স্থগিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে পাঠিয়ে একই দিন শুনানির দিন ধার্য করেন অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত।  

আরও পড়ুন>>
** 
এমপি রানার জামিন স্থগিত থাকবে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত

এর আগে ১৬ এপ্রিল তিনদিনের জন্য জামিন স্থগিত করে ১৮ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন চেম্বার আদালত। পরে গত ৮ মে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ আবেদনটির শুনানি চারমাসের জন্য মুলতবি ও ছয়মাসের মধ্যে এ মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।

এরপর আপিল  বিভাগে কয়েকদফা জামিন স্থগিত নিয়ে শুনানি মুলতবি করা হয়। আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সদস্য ফারুক আহমেদকে ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এমপি রানা গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠান টাঙ্গাইলের বিচারিক আদালত।

বর্তমানে তিনি কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন। পরে আবারও জামিনের আবেদন জানালে গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর তা নামঞ্জুর করেন আদালত।

বিচারিক আদালতে নাকচের পর হাইকোর্টে রানার জামিনের আবেদন জানানো হয়। গত বছরের ১১ ডিসেম্বর বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদ ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হক এবং ২৮ নভেম্বর সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি আতাউর রহমান খানের বেঞ্চ এ আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।  

এরপর ৯ অক্টোবর বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর বেঞ্চও এ আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।

গত ১৮ জানুয়ারি বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এমপি রানাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। গত ৩০ মার্চ তার জামিন প্রশ্নে রুলটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

এ মামলায় গত ০৩ ফেব্রুয়ারি রানা ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ।  

এরপর গত ০৬ সেপ্টেম্বর দণ্ডবিধির ৩০২/ ১২০/৩৪ ধারায় সংসদ সদস্য রানা ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন আদালত।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৭
ইএস/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।