একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আসামির উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. জাকারিয়া হোসেন এ রায় দেন।
নিহত আব্দুল খালেক শেখের বাড়ি বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নের দক্ষিণ সন্নাসী গ্রামে। জাহিদ শেখ তার সৎ ছেলে মোকাম্মেল শেখের ছেলে।
মামলার বিবরণের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বাগেরহাট জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট সীতা রাণী দেবনাথ জানান, আব্দুল খালেক শেখ শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিলেন। তিনি প্রতিবন্ধী ভাতা পেতেন। ভাতার টাকা তার সৎ নাতি জাহিদকে দিতে হতো। টাকা না দিতে চাইলে জাহিদ তাকে মারধর করতেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দিতেন। ভাতার টাকা না দেয়ায় ২০১৪ সালে ৩১ মে সন্ধ্যায় বাড়িতে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে আব্দুল খালেককে হত্যা করে পালিয়ে যান জাহিদ। পরদিন নিহতের নিজের ছেলে মো. আলী আকবর শেখ বাদী হয়ে জাহিদকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এর তিনদিন পর পুলিশ ঢাকা থেকে জাহিদকে গ্রেপ্তার করে। জাহিদ তার দাদাকে হত্যার কথা স্বীকার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
রামপাল থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইমারত আলী ওই বছরের ২০ আগস্ট জাহিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেন। ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় দেন আদালতের বিচারক।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭
এসআই