মামুন হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিলের শুনানি শেষে সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আসামি বকুলের পক্ষে তার আইনজীবী বাহার উদ্দিন আল রাজী ও পলাতক সেলিমের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এস এম শফিকুল ইসলাম কাজল।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
মির্জাপুরের ত্রিমোহন গ্রামের মাজেদুর রহমানের তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে মামুনকে অপহরণ ও হত্যার দায়ে ২০১০ সালের ৩০ ডিসেম্বর আসামি বকুলকে মৃত্যুদণ্ড ও সেলিমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক রেজা করিম।
বশির উল্লাহ জানান, বিচারিক আদালতের রায়ের সময় বকুল পলাতক ছিলেন। পরে গ্রেফতার হয়ে জেল আপিল করেন তিনি। অন্যদিকে সেলিম গ্রেফতার হয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন। পরে জামিন নিয়ে পালিয়ে যান তিনি।
২০০৩ সালের ২৩ মার্চ শিশু মামুনকে অপহরণ করে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে না পেয়ে হত্যা করেন আসামিরা। পরে মামুনের বস্তাবন্দি মরদেহ আসামি বকুলের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৭
ইএস/এএ/এএসআর