ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সীমা নীটওয়্যার চেয়ারম্যানের অব্যাহতির আদেশ বাতিল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৯
সীমা নীটওয়্যার চেয়ারম্যানের অব্যাহতির আদেশ বাতিল হাইকোর্ট/ফাইল ফটো

ঢাকা: সোনালী ব্যাংক ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের মেসার্স সীমা নীটওয়্যার অ্যান্ড ডাইং প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ মিয়ার অব্যাহতির আদেশ বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।

দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. ওমর ফারুক।

আমিন উদ্দিন মানিক জানান, ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালত গত বছরের ১০ মে তাকে চার্জ শুনানির পর মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন। সেই অব্যাহতি আদেশের বিরুদ্ধে দুদক হাইকোর্টে রিভিশন মামলা দায়ের করে। হাইকোর্ট গত বছরের ৮ অক্টোবর এই বিষয়ে রুল দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সেই রুলটি যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেন। এতে তার অব্যাহতির আদেশ বাতিল হয়ে গেছে। ফলে তার বিরুদ্ধে মামলা চলবে।  

ঘটনার বিবরণ উল্লেখ করে আমিন উদ্দিন মানিক জানান, সোনালী ব্যাংক মহিলা শাখা বর্তমানে ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখা, নারায়ণগঞ্জ থেকে মেসার্স সীমা নীটওয়্যার অ্যান্ড ডাইং প্রাইভেট লিমিটেডের পক্ষে ৬৫ শতক জমি বন্ধক রেখে পরস্পর যোগসাজশে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যঋণ মঞ্জুরি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের নিয়ম-নীতি লংঘন করে বিভিন্ন গ্রাহকের অনুকূলে শূন্য/স্বল্প মার্জিনে এলসি খোলা, আমদানি করা মালামাল ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা না করে অসৎ উদ্দেশ্যে নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১৩ কোটি ৪৬ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪৬ টাকা ঋণ গ্রহণ ও প্রদান করে যা পরে সুদেমূলে ২২ কোটি ৪৯ লাখ ৬৬ হাজার ২১৩ টাকা আত্মসাৎ করে।  

বিষয়টি অনুসন্ধান করে দুদকের উপ-পরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন ২০১৩ সালের ২৯ জানুয়ারি তিনজনকে আসামি করে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন উক্ত ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক (বর্তমানে বরখাস্ত) মো. আবদুস সামাদ ও সিনিয়র অফিসার মো. সিরাজুল হক। পরে ২০১৪ সালের ৩০ জুন দুদকের উপ- পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম তদন্ত করে মো. আবদুর রশিদ মিয়া ও মো. আবদুস সামাদকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৯
ইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।