ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

সাউথইস্টের সাবেক দুই কর্তাকে আসামিভুক্তির নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৯
সাউথইস্টের সাবেক দুই কর্তাকে আসামিভুক্তির নির্দেশ

ঢাকা: বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর রাইজিং গ্রুপকে দেওয়া ঋণ আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক ব্যপস্থাপনা পরিচালক ও হালিশহর শাখার তৎকালীন ব্যবস্থাপককে আসামিভুক্ত করে মামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে আসলাম চৌধুরীর জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে রোববার (১৩ জানুয়ারি) এ রায় দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ।    

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মিয়া মোহাম্মদ কাওসার আলম।

পরে খুরশীদ আলম খান জানান, বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর জামিনের বিষয়ে রুল খারিজ করেছেন। একইসঙ্গে দুর্নীতির মামলায় দুই ব্যাংক কর্মকর্তাকে আসামিভুক্ত করে মামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া অভিযোগপত্রে তাদের অব্যাহতি দেওয়ার কারণে দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং দুদককে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করেছেন।

আমিন উদ্দিন মানিক জানান, পুরনো জাহাজ আমদানি ও রিসাইক্লিং করতে ২০১০ সালে রাইজিং গ্রুপকে বড় ঋণ দেয় সাউথইস্ট ব্যাংক হালিশহর শাখা। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির কাছে ব্যাংকটির পাওনা ১৩৫ কোটি ৮০ লাখ ৪০ হাজার ২৮৮ টাকা।

পরে দুদক অভিযোগ আনে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এই অভিযোগে ২০১৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর নগরীর হালিশহর থানায় আসলাম চৌধুরী, তার স্ত্রী রাইজিং স্টিল মিল লিমিটেডের চেয়ারম্যান জামিলা নাজনীন মাওলা, ছোট ভাই ও একই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আমজাদ হোসেন চৌধুরী, পরিচালক জসীম উদ্দিন চৌধুরী, সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবুল আলম এবং ব্যাংকটির চট্টগ্রামের হালিশহর শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমানকে (সাব্বির) আসামি করে দূদকের সাবেক উপ-পরিচালক মো. মোশারফ হোসেন মৃধা মামলা দায়ের করেন।

এ মামলার তদন্ত শেষে ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবুল আলম ও হালিশহর শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমানকে অব্যাহতি দিয়ে অন্য চারজনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এরমধ্যে আসলাম চৌধুরী জামিন আবেদনের পর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ রুল শুনানিকালে বিষয়টি কোর্টের নজরে আসলে গত ৫ ডিসেম্বর তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেন মৃধাকে হাইকোর্টে তলব করেন। ১৩ ডিসেম্বর তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে উপস্থিত হন। আদালত এই বিষয়ে দুদক ও তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আলাদাভাবে হলফনামার মাধ্যম জবাব দিতে বলেন।  

তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদক জবাব দাখিল করলে রোববার হাইকোর্ট রায় দেন বলে জানান আমিন উদ্দিন মানিক।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৯
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।