ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

কোচিং বাণিজ্য বন্ধে সরকারের নীতিমালা বৈধ: হাইকোর্ট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৯
কোচিং বাণিজ্য বন্ধে সরকারের নীতিমালা বৈধ: হাইকোর্ট হাইকোর্ট/ফাইল ফটো

ঢাকা: কোচিং বাণিজ্য বন্ধে ২০১২ সালে করা সরকারের নীতিমালা বৈধ বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে করা কয়েকটি পৃথক রিটের রায় বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ঘোষণা করেন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

এক রিটকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেছুর রহমান

কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রাজধানীর মতিঝিল সরকারি বালক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না সেজন্য কারণ দর্শাতে নোটিশ দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

ওইসব নোটিশ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা-২০১২ নিয়ে ওই শিক্ষকেরা হাইকোর্ট রিট আবেদন করেন। তখন হাইকোর্ট রুল জারি করেছিলেন। রুলের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার এ রায় দেন হাইকোর্ট।

পরে খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, পত্রিকায় খবর প্রকাশের পর দুদক স্ব-উদ্যোগে একটি অনুসন্ধানী টিম গঠন করে। দীর্ঘদিন অনুসন্ধান শেষে দুদক সরকারকে সুপারিশ আকারে একটি রিপোর্ট পাঠায়। দুদক এটা করতে পারে কিনা, তার আইনে এটা কাভার করে কিনা। এই রিপোর্টকেই আদালতে চ্যলেঞ্জ করা হয়েছিল। আজ সেটি নিষ্পত্তি হয়ে গেলো।
 
তিনি বলেন, দুদকের অনুসন্ধানী দলের মাধ্যমে ঢাকার শহরের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি স্কুলে অনুসন্ধান করে এর সত্যতা পাওয়া যায় যে, কোচিং বাণিজ্য হচ্ছে। এর উপর বিক্ষুব্ধ হয়ে কিছু শিক্ষক হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করে। এই রিট পিটিশনের উপর দীর্ঘদিন শুনানি হয়। দু’জন সিনিয়র আইনজীবী অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে ছিলেন।
 
খুরশীদ আলম খান আরও বলেন, আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছেন, এর চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ অপরাধ বা দুর্নীতি আছে যেমন, কাস্টমস, পোর্ট, ল্যান্ড এসব জায়গায়। সেগুলোকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। এটাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। কিন্তু এর চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্ব দিতে হবে যেমন ব্যাংকিং সেক্টর। হাজার হাজার কোটি টাকা চলে যাচ্ছে। দুদক শুড বি মোর কশাস। দণ্ডবিধির ১৬৬ ধারা অনুযায়ী পাবলিক স্কুলে দুদকের ক্ষমতা আছে তদন্ত করার। এটা বেসরকারি স্কুল-কলেজের জন্য প্রযোজ্য নয়।
 
মোখলেছুর রহমান বলেন, পাঁচটি রিটের রায় একসঙ্গে হলো। আদালত পর‌্যবেক্ষণ দিয়েছেন যে, বেসরকারি স্কুলের কে স্কুলে গেলো না গেলো, কোথায় কি জড়িত এটা দুদকের পার্ট না। যার ফলে এরই পরিপ্রেক্ষিতে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেটাকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে কোর্ট বলেছে যে, ওই রেফারেন্স দিয়ে তার বিরুদ্ধে কোনো ডিপার্টমেন্টাল ইনিশিয়েটিভ নেওয়া যাবে না। এটা গভর্নিং বডি ইন্ডিপেন্ডেন্টলি নিতে পারে।
 
মোখলেছুর রহমান আরও বলেন, যেহেতু নীতিমালাটি বৈধ ঘোষণা হলো, সেহেতু কোচিং বাণিজ্য ঢালাওভাবে যেটা হচ্ছিল সেটা বন্ধ হলো। নীতিমালায় কিছু বিধি দেওয়া আছে। ক্লাসের অতিরিক্ত সময়ে সীমিত সংখ্যক শিক্ষার্থীদের তারা পাঠদান করাতে পারবেন। কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে, কত ফি হবে সব এই নীতিমালায় বলা আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৯
ইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।