ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

পূর্বাচল প্রকল্প নিয়ে রাজউকের বোর্ড সভার নথি তলব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৬ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৯
পূর্বাচল প্রকল্প নিয়ে রাজউকের বোর্ড সভার নথি তলব পূর্বাচল প্রকল্পের প্ল্যান/ সংগৃহীত

ঢাকা: পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প বিষয়ে ২০১৪ সালের ১৩ মার্চ আদালতের দেওয়া রায়ের পর থেকে এখন পর্যন্ত রাজউকের সব বোর্ড সভার অনুলিপি হাইকোর্টে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে বন, উন্মুক্ত স্থান, খেলার মাঠ, পার্ক, জলাশয় ইত্যাদি সুস্পষ্টভাবে প্রদর্শন করে চতুর্থ সংশোধিত লেআউট প্ল্যান এবং প্রস্তাবিত পঞ্চম সংশোধিত লেআউট প্ল্যান ৩০ শে জুনের মধ্যে আদালতে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
 
বুধবার (২২ মে) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।


 
এছাড়া আগামী ৪ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
 
আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), এএলআরডি, বেলা, বাপা, আইএবি, পবা ও নিজেরা করি নামের ৭টি সংগঠনের করা এক আবেদনে এ আদেশ দেন আদালত। আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও সাঈদ আহমেদ কবীর। রাজউকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানজিব-উল-আলম।
 
হাইকোর্ট ২০১৪ সালের ১৩ মার্চ এক রায়ের মাধ্যমে পূর্বাচল প্রকল্পের জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)-এর দাখিল করা চতুর্থ সংশোধনী প্ল্যান চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দেন। ওই রায়ে বলা হয়, আদালতের অনুমতি ছাড়া চতুর্থ সংশোধিত প্ল্যানে চিহ্নিত বন, লেক, খাল, পার্ক, খেলার মাঠ ও উদ্যান, সবুজ বেষ্টনী ও নগরায়নের জন্য করা সবুজ আচ্ছাদনে কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে না রাজউক। এরপরও চতুর্থ সংশোধিত প্ল্যানের ব্যত্যয় ঘটিয়ে নতুন প্লট সৃষ্টির জন্য পঞ্চম সংশোধনী প্ল্যান অনুমোদনের জন্য ২০১৮ সালের নভেম্বরে মাসে আদালতে আবেদন করে রাজউক।
 
রিট আবেদনকারী আইনজীবীর দাবি, চতুর্থ সংশোধিত প্ল্যানে চিহ্নিত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, খেলার মাঠ (প্রায় ১৪০ একর) সরিয়ে নিয়ে তা অন্যত্র বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয় পঞ্চম সংশোধনী প্ল্যানে। হাইকোর্ট একই বছরের ১৭ ডিসেম্বর এক আদেশে রাজউকের এই প্রস্তাবনার প্রায় পুরোটাই বাতিল করে দেন। তবে ৩টি (১০০তলা বিশিষ্ট ভবন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এবং রাজউকের কেন্দ্রীয় স্ট্যাকইয়ার্ড) প্রস্তাবিত পরিবর্তনের মধ্যে কেবলমাত্র ১০০তলা ভবনের অনুমোদন দেওয়া যেতে পারে মর্মে আদেশ দেন। আদালতের আদেশে এটি স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয় যে চতুর্থ সংশোধনীতে যেখানে বাণিজ্যিক এলাকা দেখানো আছে কেবলমাত্র সেখানেই এই ১০০তলা ভবনের জন্য অনুমোদন দেওয়া যেতে পারে।  তবে খেলার মাঠ, সবুজ বেষ্টনী, জলাশয়সহ অন্য ২০টির ভূমি ব্যবহারে কোনো পরিবর্তন আনা যাবে না।
 
হাইকোর্টের এই আদেশের পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয় যে রাজউক উন্মুক্ত স্থান, খেলার মাঠ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বনের জায়গা কমিয়ে নতুন প্লট তৈরির অনুরোধ জানিয়ে পূর্বাচল প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়েছে এবং আদালতের অনুমোদিত প্ল্যানে ব্যত্যয় ঘটিয়ে ৮৪টি প্লটও বরাদ্দ দিয়েছে। গণমাধ্যমে খেলার মাঠের জন্য নির্ধারিত জায়গা সংকুচিত করার সংবাদের সঙ্গে পঞ্চম সংশোধনী প্ল্যান-এর স্বপক্ষে আদালতে প্রদত্ত রাজউকের প্রস্তাবনার সামঞ্জস্যের পরিপ্রেক্ষিতে বেলা’সহ রিট আবেদনকারী সংগঠনগুলো আদালতে নতুন আবেদন দায়ের করে বলে বেলার পক্ষ থেকে জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৯
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।