রোববার (২১ জুলাই) ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমানের আদালতে প্রথম মামলাটি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
অপরদিকে একই অভিযোগে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য ইব্রাহীম খলিল তার বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান নোমানের আদালতে আরেকটি মামলা করেন।
মামলা দু’টি দণ্ডবিধির ১২৩ (এ), ১২৪ (এ) ও ৫০০ ধারায় করা হয়। বাদীদের ফৌজদারি কার্যবিধির ২০০ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করে পরে আদেশ দেবেন বলে আদালত জানান। বাদীরা তাদের জবানবন্দিতে বলেন, আসামি প্রিয়া সাহা মিথ্যা তথ্য দিয়ে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন ও রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ করেছে। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন করেন।
গত বুধবার (১৭ জুলাই) প্রিয়া সাহা ও কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে যাওয়া এক রোহিঙ্গা নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের মিথ্যা তথ্য দেন। হোয়াইট হাউজে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার বিশ্বের ১৯টি দেশের ২৭ জনের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প।
এ কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেখানে প্রিয়া সাহাকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থা সম্পর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ করতে দেখা গেছে। এমনকি বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের বাঁচাতে তিনি ট্রাম্পকে অনুরোধও করেন।
প্রিয়া সাহা বলেন, ‘বাংলাদেশে ৩৭ মিলিয়ন হিন্দু-বৌদ্ধ- খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশেই বসবাস করতে চাই। এখনো সেখানে ১৮ মিলিয়ন সংখ্যালঘু মানুষ বাস করছেন। আমার অনুরোধ, দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমি আমার বাড়ি হারিয়েছি। তারা আমার ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে, আমার জমি দখল করে নিয়েছে। কিন্তু এখনো এর কোনো বিচার হয়নি। ’
এক পর্যায়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানতে চান, এসব ঘটনা কারা ঘটাচ্ছে?
জবাবে প্রিয়া সাহা বলেন, ‘সরকার দলীয় রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ইসলামী মৌলবাদী গোষ্ঠী এসব কর্মকাণ্ড চালায়। ’
** ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৯
এমএআর/আরবি