বুধবার (২৪ জুলাই) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদুক) পরিচালক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মঞ্জুর মোর্শেদ আদালতে প্রতিবেদন জমা দেননি।
এর আগে গত ২ জুলাই একই আদালত ডিআইজি মিজানের জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়ে কারাগারে পাঠান।
গত ১ জুলাই (সোমবার) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ ডিআইজি মিজানের জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু আদালত তা খারিজ করে তাকে কাস্টডিতে নেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে শাহবাগ থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
২০ জুন (বৃহস্পতিবার) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদুক) পরিচালক মমলার তদন্ত কর্মকর্তা মঞ্জুর মোর্শেদের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একই আদালত পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানের সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও ব্যাংক হিসাব জব্দ করার আদেশ দিয়েছিলেন।
ডিআইজি মিজানের বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে- বেইলি রিটজ ভবনের চতুর্থ তলায় ৫৫ লাখ টাকার একটি ফ্ল্যাট, কার পার্কিং স্পেসসহ ৫৫ দশমিক ৫১ অযুতাংশ জমি, কাকরাইলে ২ কোটি ২০ লাখ টাকার একটি বাণিজ্যিক ফ্ল্যাট, দোকান ও জমি। এসব সম্পত্তির মূল্য মোট ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪৬০ টাকা। এছাড়া ধানমন্ডিতে একটি বেরসকারি ব্যাংকের হিসাবে রয়েছে ১০ লাখ টাকা।
বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তি যেন হস্তান্তর, বিক্রি বা মালিকানা স্বত্ব বদল করতে না পারেন, সেজন্য ঢাকা জেলা রেজিস্ট্রারের নিবন্ধন পরিদফতরের মহাপরিদর্শক, তেজগাঁও শিল্প এলাকার ঢাকা রেজিস্টার কমপ্লেক্স, নারায়ণগঞ্জ জেলা রেজিস্ট্রার এবং ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, গুলশান, সাভার ও উত্তরার সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্যদিকে, ব্যাংক হিসাব জব্দ করার আদেশে বলেছেন, ডিআইজি মিজানের জব্দ করা অ্যাকাউন্টে তার নামে অর্থ জমা করা যাবে, কিন্তু কোনো অবস্থাতেই অর্থ তোলা যাবে না। সিটি ব্যাংকের ধানমিন্ড শাখার ম্যানেজারেক এ আদেশ পালনের নির্দেশ দিয়েছেন।
তার আগে গত ১২ জুন পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানের সম্পদ অনুসন্ধানে দায়িত্ব দেওয়া হয় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদকে।
ঘুষগ্রহণ ও তথ্য পাচারের অভিযোগে আগের অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করার পর এ নিয়োগ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৯
এআর/জেডএস