সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে উঠে যাওয়া বিয়ের মাইক্রোবাসকে ট্রেনের ধাক্কায় বর-কনেসহ ১১ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় করা রিটে রোববার (২৮ জুলাই) এ রুল জারি করেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
একইসঙ্গে বর্তমানে অননুমোদিত থাকা লেভেল ক্রসিংগুলো আইনানুসারে কেন পুনর্নির্মাণ করা হবে না এবং রেলওয়ের অনুমোদন ছাড়া আর কোনো লেভেল ক্রসিং নির্মাণ না করার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না রুলে তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে রেলওয়ে এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, রেলওয়ের মহাপরিচালক ও এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব।
গত ১৫ জুলাই (সোমবার) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের বেতকান্দিতে অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে ট্রেন ও মাইক্রোবাস সংঘর্ষে বর-কনেসহ ১১ জন নিহত হয়।
এ ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে কোটি টাকা, আহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দেওয়া, রেলওয়ের সব লেভেল ক্রসিংয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যথাযথ গেটম্যান দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
এ রিটের শুনানিতে ক্ষতিপূরণসহ লেভেল ক্রসিংয়ের নিরাপত্তায় রুল জারিসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ জারির আর্জি জানানো হয়।
এ সময় আদালত বলেন, যারা ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী, তারা এলে আমরা এ বিষয়ে দেখবো। ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে আমার আজ কোনো আদেশ দেবো না। এরপর আদালত লেভেল ক্রসিং নিয়ে রুল জারি করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৯
ইএস/জেডএস