বুধবার (৩১ জুলাই) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
পরে মনজিল মোরসেদ বলেন, এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে কয়েক দফা নির্দেশনা দিয়েছেন। সেগুলো হলো-
১. যে কোনো গাড়ি রিকুইজিশন অবশ্যই জনস্বার্থে করতে হবে। যদি কেউ না করে সে অফিসারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
২. রিকুইজিশন করা গাড়ি কোনো অফিসার তার ব্যক্তিগত বা পরিবারের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না। করলে অসদাচরণের জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।
৩. প্রাইভেট গাড়ি, সিএনজি অটোরিকশা, ট্যাক্সি রিকুইজিশন করা যাবে না।
৪. রিকুইজিশন করা গাড়ির ব্যাপারে প্রত্যেক পুলিশ স্টেশনে তালিকা সংরক্ষণ করতে হবে।
৫. রিকুইজিশনের ব্যাপারে যে কোনো অভিযোগ পুলিশ কমিশনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।
৬. রিকুইজিশন করা গাড়ির কোনো ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। গাড়ির পেট্রোল খরচ বহন করতে হবে। চালকদের খাবার খরচ দিতে হবে।
৭. ছয় মাসের মধ্যে একই গাড়ী ২য়বার রিকুইজিশন করা যাবে না।
৮. নারী,শিশু,রোগী থাকলে সে গাড়ী রিকুইজিশন করা যাবে না।
৯. পুলিশ কমিশনার একটি সার্কুলার ইস্যু করে সব পুলিশ অফিসারদের কাছে পাঠাবে এবং নির্দেশনা মানা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও জানান, আদালত মামলাটি চলমান রেখেছেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশের ১০৩ (ক) ধারার অধীনে পুলিশ গাড়ি রিকুইজিশনের বিধান নিয়ে ২০১০ সালে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে জনস্বার্থে এ রিট আবেদন করা হয়।
এ রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ২৩ মে রুল জারি করে করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৯
ইএস/এএ