বুধবার (১৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের হাজির করা হয়। এ সময় আদালতের বিচারক মো. সিরাজুল ইসলাম গাজী পুলিশ প্রতিবেদন পাওয়ার জন্য মামলার পরবর্তী শুনানি ২২ আগস্ট নির্ধারণ করেন।
মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচ নম্বর আসামি মুসা বন্ড, সাত নম্বর আসামি মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, আট নম্বর আসামি রায়হান ও ১০ নম্বর আসামি রিফাত হাওলাদারকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে প্রধান আসামি নয়ন বন্ড গত ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে।
রিফাত হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- রিফাত ফরাজী, রিশান ফরাজী, চন্দন সরকার, রাব্বি আকন, হাসান, অলি, টিকটক হৃদয়, সাগর, কামরুল হাসান সাইমুন, আরিয়ান শ্রাবন, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, তানভীর, নাজমুল হাসান, রাতুল সিকদার ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি।
রিফাত হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরগুনা থানার পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবির জানান, প্রতিবেদন সম্পন্ন না হওয়ায় বুধবার তিনি তা আদালতে দাখিল করতে পারেননি। তবে পরবর্তী শুনানিতে তিনি প্রতিবেদন দাখিল করতে পারবেন বলে আশাবাদী।
আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহাবুবুল বারী আসলাম জানিয়েছেন, গত ৩০ জুলাই তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রতিবেদন দাখিলের কথা ছিল। ওই তারিখে তিনি প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। বুধবারও পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি।
তিনি জানিয়েছেন, রিফাত হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকা আসামিদের নাম উল্লেখ করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন করলে এবং বিচারক তা গ্রহণ করলে সেটিই চার্জশিট হিসেবে গণ্য হবে।
মামলার প্রধান সাক্ষী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে গত ১৬ জুলাই রাতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পরের দিন তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। তার দু’দিন পরে মিন্নিকে আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। গত ৩১ জুলাই সেই স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের জন্য মিন্নি কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বরগুনার জ্যেষ্ঠ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে আবেদন করেছেন। বিচারক তার আবেদন গ্রহণ করে নথিভুক্ত করেছেন।
মিন্নিকে গ্রেফতারের পরে বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন বলেছিলেন, রিফাত হত্যার পরিকল্পনার সঙ্গে মিন্নি জড়িত। পরবর্তীতে বলেছেন, হত্যাকারী অনেকের সঙ্গে মিন্নির আগে ও পরে কথা হয়েছে। হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে মিন্নির নাম চার্জশিটে যুক্ত হবে, এটা অনেকটা নিশ্চিত।
গত ২৬ জুন সকালে প্রকাশ্যে বরগুনা সরকারি কলেজ গেটের সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে আহত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বরিশাল নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও পাঁচ/ছয়জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৯
আরবি/