সাক্ষ্যগ্রহণের ৩৫তম দিন বুধবার (২১ আগস্ট) তিনি ফেনীর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইনের আদালতে এ সাক্ষ্য দেন। অবশ্য আসামিপক্ষের আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পুনরায় জেরা করার জন্য বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দিন ধার্য করেন আদালত।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী শাহজাহান সাজু জানান, নুসরাত হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম একদম শেষের দিকে। এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী অভিযোগপত্র প্রদানকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের ফেনী শাখার পরিদর্শক মো. শাহ আলমের সাক্ষ্য শেষে যুক্তিতর্ক শুরু হবে।
গত ২৭ জুন মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানের মাধ্যমে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। তারপর নুসরাতের ছোট ভাই রাশেদুল হাসান রায়হান, মা শিরিন আখতার ও বাবা মাওলানা একেএম মুসা সাক্ষ্য দেন। একে একে সাক্ষ্য দেন ৯২ জন।
গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসা কেন্দ্রের সাইকোন শেল্টারের ছাদে নুসরাতকে ডেকে নিয়ে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় অধ্যক্ষের সহযোগীরা। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ১০ এপ্রিল মারা যায় নুসরাত।
এ ঘটনার দায়িত্বে অবহেলার কারণে প্রত্যাহার করা হয় সোনাগাজী থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনকে। প্রত্যাহার করা হয় জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) জাহাঙ্গীর আলম সরকারকেও। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাবন্দি রয়েছেন ওসি মোয়াজ্জেম।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৯
এসএইচডি/এইচএ/