বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) স্ত্রীসহ সুপ্রিম কোর্টে এসে ইসলাম সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। আপিল বিভাগেও তিনি এরকম কথা বলেছেন।
তার স্ত্রী মালা বেগম বলেন, এখন আমি ভালো আছি। আমি খুশি আছি। এখন আমার জামাই (স্বামী) আছে। শশুর বাড়ি গেছিলাম। গেলে আমার বাবারা যাইয়া আমাকে আবার নিয়া আইছে।
ঘটনার শুরু বা শেষ এখানেই নয়, প্রায় দুই দশক আগে স্থানীয় মৌলভীর মাধ্যমে ২০০০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি তারা বিয়ে করেন। এরপর ২০০১ সালের ২১ জানুয়ারী মালার গর্ভে জন্ম নেয় একটি পুত্র সন্তান। কিন্তু পরবর্তীতে ইসলাম এ সম্পর্ক মেনে নেয়নি। মেনে নেয়নি তাদের একমাত্র সন্তান মিলনকেও।
এর ফলাফল গিয়ে ঠেকে মামলা-মোকদ্দমায়। মালার পরিবারের পক্ষ থেকে ইসলামের বিরুদ্ধে ঠুকে দেন ধর্ষণ মামলা। বিচার শেষে এ মামলায় নিম্ন আদালত ২০০৫ সালে ইসলামকে যাবজ্জীন কারাদণ্ড দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিলের পর তা বহাল থাকে। পরবর্তীতে আপির করার পরও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে তা বহাল থাকে।
এরপর আপিল বিভাগে রিভিউ আবেদন করেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ইসলাম।
এই রিভিউ শুনানিতে ইসলামের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল আদালতের সামনে তাদের সম্পর্কের বিয়টি তুলে ধরেন। এমনকি ডিএনএ টেস্টে মিলন ইসলাম ও মালার সন্তান বলেও প্রমাণ হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।
তবে আদালত বলেছেন, ইসলাম যদি মালাকে স্ত্রী ও সন্তানের স্বীকৃতি দেন তাহলে তিনি জামিন পাবেন।
এরপর ইসলাম রাজি হলে উভয় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ৩১ জুলাই যশোর কারাগারে ইসলামের সঙ্গে মালার বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের কাবিননামা আদালতে জমা দেওয়ার পর গত ১ আগস্ট ইসলামকে জামিন দেন। পরে ৯ আগস্ট জামিনে মুক্তি ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) ধার্য ছিলো এ মামলার তারিখ। সে অনুসারে ইসলাম ও মালা সুপ্রিম কোর্টে আসেন।
আদালতে তারা দুই জন সংসার করছেন বলে জানান।
পরে আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, বাকী জীবন তারা একসঙ্গে থাকবেন এমন প্রত্যাশা আমাদের। আপিল বিভাগ আদালত বলেছেন, ইসলামের খালাসের যুক্তি দাখিল করতে। আর এ রিভিউ শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইসলাম জামিনে থাকবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০,২০১৯
ইএস/এমএমএস