রোববার (০১ সেপ্টেম্বর) মামলার বাদী ফারিয়া মাহবুব সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন জানিয়ে আদালতে সময় আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। যদিও এদিন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিলো।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জাল হোসেন সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ৩০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ২৮ জুলাই একই আদালত বাদীর উপস্থিতিতে পুলিশের প্রতিবেদনের উপর বাদীর কোনো আপত্তি আছে কিনা, সে বিষয়ের শুনানির জন্য ৭ আগস্ট (বুধবার) দিন ধার্য করা হয়।
ওইদিন বাদীপক্ষ শুনানির জন্য সময় চাইলে আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ২৫ আগস্ট (রোববার) দিন ধার্য করেন। ২৫ আগস্ট সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ১ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
২৫ আগস্ট (রোববার) বাদী উপস্থিতি থেকে না-রাজির দরখাস্ত দাখিল করেন। কিন্তু বাদীপক্ষের সিনিয়র আইনজীবী অনুপস্থিতি থাকায় না-রাজির প্রতিবেদন শুনানির জন্য সময়ের আবেদন করেন।
এর আগে গত ১৭ জুলাই (বুধবার) পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো. মজিবুর রহমান ঘটনার অভিযোগের সত্যতা পায়নি বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন আদালতে।
গত ১১ মার্চ আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদারের ছেলে সাফাত আহমদের স্ত্রী ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা একই আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমদের স্ত্রী ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা এ মামলার বাদী।
মামলা দায়েরের পর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জাল হোসেন বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলার অপর আসামি হলেন আপন রিয়েল এস্টেটের পরামর্শক মো. মোখলেছুর রহমান।
বাদী তার অভিযোগে বলেন, ২০১৫ সালে দিলদার আহম্মেদ সেলিমের ছেলে সাফাতের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর দিলদার তার ওপর নির্যাতন করে আসছেন। স্বামীর অনেক অনৈতিক কাজে তিনি বাধা দিলেও শ্বশুর উল্টো উৎসাহিত করতেন এবং সহযোগিতা করতেন।
অভিযোগে আরো বলেন, আসামিরা বিভিন্ন সময় তাকে গর্ভপাতের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। গত ৫ মার্চ বাসায় ফেরার পর একই উদ্দেশ্যে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে, চরথাপ্পড় মেরে ও গর্ভপাত করানোর উদ্দেশ্যে আসামিরা তার তলপেটে লাথি মারার চেষ্টা করেন এবং স্বর্ণালঙ্কর, নগদ অর্থ রেখে এক কাপড়ে বাসা থেকে বের করে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১,২০১৯
এমএআর/জেডএস