রোববার (১৩ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ মামলায় মুজাহিদুরসহ মোট চারজন স্বীকারোক্তি দিলেন। এর আগে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল ১০ অক্টোবর, উপ-ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিওন ১১ অক্টোবর এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার শনিবার হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেন।
এদিকে প্রথম দফায় পাঁচদিনের রিমান্ডে থাকা অন্য পাঁচ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির লালবাগ জোনাল টিমের পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান তাদের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে রাখার আবেদন করেন। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত তাদের কারাগারে পাঠান।
কারাগারে পাঠানো পাঁচজন হলেন- বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ, গ্রন্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ ওরফে মুন্না, সদস্য মুনতাসির আল জেমি ও খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম ওরফে তানভীর।
গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগ নেতাদের হাতে নির্দয় পিটুনির শিকার হয়ে মারা যান বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ। এ ঘটনায় পরদিন নিহতের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৯
কেআই/এএ