বুধবার (১৬ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিনউদ্দিন ও আইনজীবী আব্দুল আলিম মিয়া জুয়েল।
আদেশের পর এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, আবেদনকারীরা আবেদন না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের কথা আপিল বিভাগকে জানানো হয়েছে। এ কারণে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন অকার্যকর বলে আদেশ দিয়েছেন।
ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল সাংবাদিকদের বলেন, আসামিপক্ষ যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে রিট করেনি। তাই তারা আজ আদালতে বলেছেন, ওই রিট আবেদন চালাবে না। ফলে রাজশাহীর আদালতে ওই মামলা চলতে বাধা নেই।
২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি শাহজাদপুরে মেয়র মিরুর দুই ভাইয়ের সঙ্গে আওয়ামী লীগের আরেক গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার খবর সংগ্রহ ও ছবি তুলতে গিয়ে সাংবাদিক শিমুল গুলিবিদ্ধ হন। পরদিন বগুড়া থেকে ঢাকায় আনার পথে মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় শিমুলের স্ত্রী বাদী হয়ে মেয়র মিরু ও তার সহোদর মিন্টু এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা নাছিরসহ জ্ঞাত ১৮ এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরও প্রায় ২২ জনসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
গত বছর ২৮ ডিসেম্বর শিমুল হত্যা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সিরাজগঞ্জ আদালত থেকে রাজশাহী দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ওই প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন হাবিবুল হক মিন্টুসহ অন্য আসামিরা। বর্তমানে শিমুল হত্যা মামলা রাজশাহী দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের পর্যায়ে রয়েছে।
আসামিপক্ষের করা ওই রিটের শুনানি নিয়ে গত ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট শিমুল হত্যা মামলা রাজশাহী দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরে জারি করা প্রজ্ঞাপন ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে রুল জারি করেন।
পরে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে ১৪ অক্টোবর পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়েছেন।
এর ধারাবাহিকতায় শুনানি শেষে বুধবার আপিল বিভাগ আবেদন অকার্যকর বলে খারিজ করে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৯
ইএস/জেডএস