শুনানি শেষে সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলার শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না; আর দুদকের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম এ আজিজ খান শুনানিতে অংশ নেন।
আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ বি এম ওয়ালিউর রহমান খান। পরে আমিন উদ্দিন মানিক জানান, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের মামলায় বগুড়ার বহিষ্কৃত সেই শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকারকে জামিন না দিয়ে আবেদনটি উপস্থাপন হয়নি মর্মে নামঞ্জুর করেছেন।
তিনি জানান, শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনে অভিযোগে দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। আসামি তুফান সরকারের আয়ের কোনো উৎস ছিল না। তিনি আয়কর রিটার্নে ১ কোটি ৫৯ লাখ ৫৮ হাজার ৮৮৫ টাকা দেখান। দুদকের নোটিশে সম্পদের সঠিক হিসাব দেননি তিনি।
এই কারণে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর বগুড়া সদর থানার মামলা করেন। এ আসামি ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার হয়ে ২০১৭ সালের ২৯ জুলাই থেকে জেল হাজতে আছেন।
এর আগে চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি কিশোরীকে ধর্ষণ এবং কিশোরী ও তার মাকে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার মামলার প্রধান আসামি তুফান সরকারের জামিন আবেদন খারিজ করেছিলেন হাইকোর্ট।
২০১৭ সালের ২৮ জুলাই নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ওই মেয়ের মায়ের করা মামলায় বলা হয়, ভালো কলেজে ভর্তি করবে বলে তুফান মোবাইলে যোগাযোগ করে। পরে মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই বগুড়ায় নিজের বাড়িতে তার মেয়েকে ধর্ষণ করে তুফান।
তুফানের স্ত্রী বিষয়টি জেনে ওই ঘটনার জের ধরে ওই বছরের জুলাইয়ের ২৮ তারিখ তার এবং তার মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে দেন। এমনকি বেধড়ক মারধরও করা হয়। পরে এ মামলায় পুলিশ ১১ জনকে গ্রেফতার করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
ইএস/এমএ