সোমবার (২৮ অক্টোবর) তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। সেই আবেদন মঞ্জুর করে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান তাদের কারাগারে পাঠান।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ঢাকা মহানগর আদালতের প্রসিকিউটর নাজমুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সোমবার সন্ধ্যায় গুলশান থানায় দুটি মামলা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। দুটি মামলার বাদী গুলশান জোনের পরিদর্শক এস এম শামসুল কবির এবং উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতাউর রহমান।
দুই মামলায় আজিজ মোহাম্মদের ভাতিজা ওমর মোহাম্মদ ভাই এবং দুই কেয়ারকেটার নবীন ও পারভেজকে আসামি করা হয়।
রোববার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত গুলশান ২-এ আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের বাড়িতে অভিযান চালায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, অভিযানকালে ভবনের টপ ফ্লোরে একটি মিনি বারের সন্ধান পাওয়া যায়। সেখান থেকে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার বিভিন্ন সরঞ্জাম, চার কেজি সিসা ও সেবনের সরঞ্জাম, ৩৮২ বোতল বিভিন্ন বিদেশি ব্র্যান্ডের মদ, ২০০ গ্রাম গাঁজা ও ২৪ ক্যান বিয়ার জব্দ করা হয়।
এছাড়াও ওই ভবনের তৃতীয় তলায় আজিজ মোহাম্মদের ছোট ভাই রাজা মোহাম্মদ ভাইয়ের বাসা থেকে ১১ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। এ সময় বাসার কেয়ারটেকার নবীন ও পারভেজকে আটক করা হয়। তবে অভিযানের আগেই আজিজ মোহাম্মদের ওমর মোহাম্মদ বাসা থেকে পালিয়ে যান।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
কেআই/জেডএস