ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ০২ জুলাই ২০২৪, ২৪ জিলহজ ১৪৪৫

আইন ও আদালত

রিভিউ করবো: আজহারের আইনজীবী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৯
রিভিউ করবো: আজহারের আইনজীবী

ঢাকা: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায়ের পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। 

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) আপিল বিভাগের রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।  

অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যেই এই পুনর্বিবেচনার আবেদন করবো।

রিভিউ আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত রায় কার্যকর করা যাবে না।

এর আগে সকালে আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।

গত ১০ জুলাই এ আপিলের ওপর শুনানি শেষে সিএভি (রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান) রাখেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ। ১৮ জুন আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়।  

পড়ুন>>জামায়াত নেতা আজহারের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল

আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন পেপারবুক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে এ শুনানি শুরু হয়েছিল। ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আজহারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে ১২৫৬ ব্যক্তিকে গণহত্যা-হত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং শতশত বাড়ি-ঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো ৯ ধরনের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয় এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে।

এসব অভিযোগের মধ্যে ১ নম্বর বাদে বাকি পাঁচটি অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে ট্রাইব্যুনালের রায়ে। সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটির (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) অভিযোগ ছাড়াও তিনি যে আলবদর কমান্ডার ছিলেন তাও প্রমাণিত হয়েছে রায়ে।

২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি ১১৩ যুক্তিতে আজহারকে নির্দোষ দাবি করে খালাস চেয়ে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৯০ পৃষ্ঠার মূল আপিলসহ ২৩৪০ পৃষ্ঠার আপিল দাখিল করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৯
ইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।