ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

৭ মার্চকে ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস ঘোষণার নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০
৭ মার্চকে ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস ঘোষণার নির্দেশ

ঢাকা: ৭ মার্চকে ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস ঘোষণা করে এক মাসের মধ্যে গেজেট নোটিফিকেশন জারির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।

আদালতের আদেশের বিষয়টি জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

তিনি বলেন, ‘এ আদেশের ফলে ৭ মার্চকে জাতীয় দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলো। প্রশাসনের কাজ হবে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে একটি গেজেট নোটিফিকেশন করা, সে গেজেটের মাধ্যমে ভবিষ্যতে ৭ মার্চ রাষ্ট্রীয়ভাবে দিবসটি পালিত হবে। ’
 
আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, মুজিববর্ষের মধ্যে প্রত্যেকটি জেলা এবং উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, ম্যুরাল নির্মাণের জন্য আদালত নির্দেশ দিয়েছেন। জেলা এবং উপজেলা কমপ্লেক্সে রাষ্ট্রীয় খরচে এ ম্যুরালগুলো নির্মাণ করতে হবে। এ কাজের অগ্রগতি ৩০ দিনের মধ্যে জানাতে হবে। এছাড়া প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকে ৭ মার্চের গৌরবোজ্জল ইতিহাস অন্তুর্ভূক্তির জন্য একটি রুল জারি করেছেন।

২০০৯ সালের আরেকটি রিট মামলার বিষয়ে আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, ২০০৯ সালে আরও একটি রিট মামলা ছিলো, সেখানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সাতটি ঐতিহাসিক স্থান চিহ্নিত করে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করার নির্দেশনা ছিলো। ১৯৭১ সালের আগে যে অবস্থায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছিলো ঠিক সেই আঙ্গিকে নিয়ে যাওয়া এবং ১৬ ডিসেম্বরের পরে যদি কোনো নতুন স্থাপনা হয়ে থাকে যেটা স্বাধীনতার ইতিহাস বা সাতটি স্থানের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় এগুলো অপসারণের সুর্নিদিষ্ট আদেশ ছিলো। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ এ আদেশ পালনে নিষ্ক্রিয়তা দেখিয়েছেন। আদালত এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে সরকার কি ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছেন, কেন এই  নিষ্ক্রিয়তা, রাষ্ট্রের কেন এই ব্যর্থতা তা এক মাসের মধ্যে কেবিনেট সেক্রেটারিকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।  
 
২০১৭ সালে এ বিষয়ে রিট করেছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ড. বশির আহমেদ।

এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ২০ নভেম্বর বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করেছিলেন।

সম্প্রতি এ রুল শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০/আপডেট: ১৭০২ ঘণ্টা
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।