ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

শরীরে জীবাণুনাশক ব্যবহার বন্ধে আইনি নোটিশ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩২ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২০
শরীরে জীবাণুনাশক ব্যবহার বন্ধে আইনি নোটিশ

ঢাকা: ক‌রোনা ভাইরাস বিস্তার রো‌ধে বি‌ভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মানব শরীরে ঝুঁকিপূর্ণ জীবাণুনাশক ছিটা‌নো ব‌ন্ধের দা‌বি‌তে আইনি নো‌টিশ দেওয়া হ‌য়ে‌ছে।

পরিকল্পনা, স্বাস্থ্য ও পরিবার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপচালক, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট বা আইইডিসিআরের পরিচালক, স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী এবং পিআইডির প্রধান তথ্য কর্মকর্তাকে নোটিশে বিবাদী করা হয়েছে।

বুধবার (২০ মে) ই-মেইল ও ডাকযোগে ওই আইনি নোটিশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান।

এতে বলা হ‌য়ে‌ছে, বিশ্ব স্বাস্থ‌্য সংস্থা (ড‌ব্লিউএইচও) মানব শরীরে ব্লিচ থেকে শুরু করে যেকোনো ধরনের জীবাণুনাশকের ব্যবহার নিষেধ করেছে। তারা বলেছে, এরূপ জীবাণুনাশকের প্রয়োগ চোখ এবং চামড়ার বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে।

সংস্থা‌টি জীবাণুনাশকের ব্যবহার ফ্লোর, টয়লেট, মেটাল দ্রব্যাদি, ব্যবহার্য দ্রব্যাদি, আসবাপত্র ইত্যাদি শক্ত আবর‌ণের জি‌নি‌সের ওপর প্রয়োগ কর‌তে ব‌লে‌ছে। আর মানুষের পরিচ্ছন্নতার জন্য সাবান এবং সীমিতভাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহারের কথা বলেছে।

এমতাবস্থায় গত ১৬ এপ্রিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেশের সব সিভিল সার্জনকে চিঠি দিয়ে জীবাণুনাশক টানেল ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। কিন্তু গত ১১ মে মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ সব পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে। যেখানে শুরুতেই বলা হয়েছে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক জীবাণুমুক্তকরণ টানেল স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।

নোটিশে বলা হ‌য়ে‌ছে, ড‌ব্লিউএইচওসহ বি‌ভিন্ন সংস্থার নি‌র্দেশনার পরও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সব অফিসে জীবাণুনাশক টানেল ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছে। এতে জনমনে ভীতির সঞ্চার করছে। নাগরিকদের দীর্ঘমেয়াদী শারীরিক এবং মানসিক সমস্যায় ভোগার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।

এ ধরনের পদ্ধতি একদিকে সরকারের প্রচুর অর্থের ব্যয় করবে, অন্যদিকে নাগরিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষাও ঝুঁকিতে ফেলবে।

তাই নোটিশে জীবাণুমুক্তকরণের নামে মানব শরীরে এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ ও ক্ষতিকর কেমিক্যাল মিশ্রিত জীবাণুনাশক ব্যবহার বন্ধের নি‌র্দেশনা চাওয়া হয়।

নোটিশ প্রাপ্তির ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শরীরে জীবাণুনাশক ব্যবহার কিংবা প্রয়োগের জন্য ব্যবহৃত যেকোনো ধরনের ডিভাইস যেমন: বক্স, চেম্বার, টানেল, গেট ও বুথের কার্যক্রম বন্ধের দা‌বি জানা‌নো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২০
কেআই/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।