ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

করোনায় প্রথম কোনো বিচারকের মৃত্যু

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩২ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২০
করোনায় প্রথম কোনো বিচারকের মৃত্যু

ঢাকা: করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় লালমনিরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) ফেরদৌস আহমেদের মৃত্যু হয়েছে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বুধবার (২৪ জুন) রাতে বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান।

তিনি বলেন, আজ রাত ৮টায় লালমনিরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) ফেরদৌস আহমেদ মৃত্যুবরণ করেন।

তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সিএমএইচে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

করোনা আক্রান্ত হয়ে সিএমএইচের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন জেলা জজ ফেরদৌস আহমেদ। তাকে প্লাজমাও দেওয়া হয়েছিল।

আইন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ড. মো. রেজাউল করিম জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জামালপুরে শহরে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে এবং সেখানে দাফন করা হবে।

বিচারক ফেরদৌস আহমেদ  ১৯৮৪ সালে বিচার বিভাগে মুন্সেফ (সহকারী জজ) হিসেবে যোগদান করেন।  

তার  মৃত্যুতে প্রধান বিচরপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

এর আগে গত ২৩ জুন সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, অধস্তন আদালতের ২৬ জন বিচারক, সুপ্রিম কোর্টের ২৬ কর্মচারী ও অধস্তন আদালতের ৭১ জন কর্মচারী এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

সর্বপ্রথম গত ২২ মে নেত্রকোনা জেলা ও দায়রা জজ শাহাজাহান কবির করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন এবং এরপরে মুন্সিগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম রোকেয়া রহমান আক্রান্ত হন। বর্তমানে তারা দু’জন সুস্থ হয়ে আবার কাজে যোগ দিয়েছেন।
এদিকে করোনা আক্রান্ত ভোলার জেলা ও দায়রা জজ এবিএম মাহমুদুল হকের অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত রোববার তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় এনে ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২০
ইএস/আরআইএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।