ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

রিজেন্টের সাতজন রিমান্ড শেষে কারাগারে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২২ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২০
রিজেন্টের সাতজন রিমান্ড শেষে কারাগারে

ঢাকা: করোনা পরীক্ষা না করেই সার্টিফিকেট দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের অ্যাডমিন, টেকনোলজিস্টসহ সাতজনকে পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী এ আদেশ দেন।  

গত ৮ জুলাই অপর একটি আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সেই রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার তাদের আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক আলমগীর গাজী। শুনানি শেষে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।  

এ সাত আসামি হলেন-হাসপাতালের অ্যাডমিন আহসান হাবীব, এক্সরে টেকনিশিয়ান আহসান হাবীব হাসান, মেডিক্যাল টেকনলজিস্ট হাতিম আলী, প্রধান কার্যালয়ের অ্যাডমিন রাকিবুল ইসলাম, এইচ আর অ্যাডমিন অমিত বণিক, ড্রাইভার আব্দুস সালাম এবং অ্যাক্সিকিউটিভ অফিসার আব্দুর রশিদ খান।

গত ৬ জুলাই রাতে র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় ভুয়া সনদ সরবরাহের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটজনকে আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।

পরে করোনা পরীক্ষা না করেই সার্টিফিকেট দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে র‌্যাব।

মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নামোল্লেখ করা হয়। প্রধান আসামিসহ ৯ জন আসামিকে পলাতক দেখিয়ে এজাহারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরে সাহেদের আরেক সহযোগী তারেক শিবলীকে গ্রেফতার করা হয়।

এখন পলাতক আছেন রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজ, মো. শিমুল পারভেজ, দীপায়ন বসু, আইটি কর্মকর্তা মাহবুব, সৈকত এবং পলাশসহ ৮ জন।

এর আগে ৭ জুলাই সন্ধ্যার দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে হাসপাতালের শাখা দু’টির (উত্তরা ও মিরপুর) কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশের কথা বলা হয়। ওইদিন বিকেলে উত্তরায় রিজেন্টের প্রধান কার্যালয় সিলগালা করে দেয় র‌্যাব।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর) মো. আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রিজেন্ট হাসপাতালের ওই দুই শাখায় গত মার্চ থেকে কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সোমবার র‌্যাবের অভিযানে উত্তরা শাখায় (মূল শাখা) বিভিন্ন অনিয়ম ধরা পড়ে। এতে দেখা যায়, হাসপাতাল দু’টি রোগীদের কাছ থেকে অন্যায়ভাবে বড় অঙ্কের টাকা আদায় করছে। পাশাপাশি অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও আরটি-পিসিআর পরীক্ষার নামে ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া, তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও লাইসেন্স নবায়ন না করাসহ আরও অনিয়ম প্রমাণিত হয়।

এসব অনিয়মের কারণে এবং ‘মেডিক্যার প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ল্যাবটোরিস রেজুলেশন অরডিন্যান্স-১৯৮২’ অনুযায়ী এ হাসপাতালের কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হলো।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২০
কেআই/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।