ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ময়ূর-২ লঞ্চের সহকারী মাস্টার জাকির রিমান্ডে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০২ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২০
ময়ূর-২ লঞ্চের সহকারী মাস্টার জাকির রিমান্ডে ফাইল ছবি

ঢাকা: বুড়িগঙ্গায় মর্নিং বার্ড লঞ্চডুবির ঘটনায় দায়ী ময়ুর-২ এর সহকারী মাস্টার জাকির হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

শুক্রবার (২৪ জুলাই) ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাত শুকরানা রিমান্ডের এই আদেশ দেন।

বৃহস্পতিবার কোতয়ালী থানাধীন ওয়াজঘাট এলাকা থেকে জাকিরকে গ্রেফতার করে নৌ-পুলিশ। শুক্রবার তাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন সদরঘাট নৌ-থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শহিদুল আলম।

অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তিনদিনের রিমান্ডে পাঠান।

ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এমএল মর্নিং বার্ড নামে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ গত ২৯ জুন সকালে মুন্সিগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে সদরঘাটের দিকে আসছিল। শ্যামবাজারের কাছে বুড়িগঙ্গায় ময়ূর-২ নামের আরেকটি বড় লঞ্চের ধাক্কায় সেটি ডুবে যায়। দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৪ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় গত ৩০ জুন ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক, মাস্টারসহ সাতজনকে আসামি করে কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানায় নৌ-পুলিশের এসআই শামছুল আলম দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এতে ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ, মাস্টার আবুল বাশার, মাস্টার জাকির হোসেন, চালক শিপন হাওলাদার, শাকিল হোসেন, হৃদয় ও সুকানি নাসির মৃধার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচ-সাতজনকে সেখানে আসামি করা হয়েছে।

এ পর্যন্ত মামলার এজাহারভুক্ত ৬ জনসহ ৭ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে শুধু হৃদয় পলাতক রয়েছেন।

প্রাণহানির ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২৮০, ৩০৪ (ক), ৩৩৭ ও ৩৪ ধারায় অবহেলাজনিত মৃত্যুসহ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

এ ঘটনার পর সদরঘাটের একটি সিসি ক্যামেরার ভিডিও পরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটিতে দেখা যায় পেছনে চলতে থাকা ময়ূর-২ এর ধাক্কায় ছোট আকারের মর্নিং বার্ডকে মুহূর্তের মধ্যে বুড়িগঙ্গায় ডুবে যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২০
কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।