ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

২৯তম দিনের আন্দোলনে শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২০
২৯তম দিনের আন্দোলনে শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের কর্মসূচি

ঢাকা: সনদ এবং বার কাউন্সিলে নিবন্ধের দাবিতে ২৯তম দিনের মতো আন্দোলন করছেন শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা।

২০১৭ এবং ২০২০ সালের প্রিলি (এমসিকিউ) পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা চাচ্ছেন সরাসরি আইনজীবী হিসেবে এনরোলমেন্টের সুযোগ।

মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) এই দাবিতে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনশন কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন। এর আগে বিগত ৭ জুলাই থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয় প্রিলি উত্তীর্ণ ১২ হাজার ৮৭৮ জন শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে।

আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে আহ্বায়ক ফজলে রাব্বি স্মরণ বলেন, ২০১৭ সাল থেকে একটানা তিন বছর কোন লিখিত পরীক্ষা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে করোনা মহামারিতে আমাদের পরীক্ষা বার কাউন্সিল আরও গ্রহণ করবে না। আর মহামারি কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। এরপরেও পরীক্ষা শুরু হলে চূড়ান্ত তালিকাভুক্তি পর্ব শেষ হতে হতে আরও দুই থেকে আড়াই বছর সময় লেগে যাবে।

তিনি বলেন, এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে আমরা যারা ২০১৭ এবং ২০২০ সালে  প্রিলি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি তাদের মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশেষ বিবেচনায় অবশিষ্ট পরীক্ষা থেকে অব্যাহতি দিয়ে অ্যাডভোকেট হিসেবে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

আন্দোলনকারীদের প্রধান সমন্বয়ক এ কে মাহমুদ বলেন, আমরা বিগত প্রায় দুই মাস যাবত নানান কর্মসূচিতে আন্দোলন করে যাচ্ছি। বার কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবির বিষয়টি যৌক্তিকভাবে গ্রহণ করলেও আদ্যবধি কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। সর্বশেষ গত ৭ জুলাই থেকে আমরা আমরণ প্রতীকী অনশন করে আসছি। প্রথমে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ, এরপর বার কাউন্সিলের বোরাক টাওয়ার সম্মুখে আর এখন আমরা জাতীয় প্রেসক্লাব সম্মুখে কর্মসূচি পালন করছি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি এবং আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি।

আন্দোলনে অন্যান্য প্রিলি উত্তীর্ণ শিক্ষানবিশ আইনজীবীরাও অংশ নিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০২০
এসএইচএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।